কয়েক মাস আগে চৌক্রি আসমার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, তিনি হাল ছেড়ে দিতে প্রস্তুত নন। তাই তিনি কায়রো এবং এর আশেপাশের বাসিন্দাদের নিয়ে বৃক্ষ রক্ষার উদ্দেশ্যে একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন। কায়রোতে একটি বড় রাস্তার দুধারে ফিকাস, বাবলা এবং পাম গাছ কেটে ফেলার পরিকল্পনা করে মিসরীয় কর্তৃপক্ষ — ঐতিহাসিক এই শহরটির পুনঃউন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে তারা এ কাজটি করার সিদ্ধান্ত নেয়। আসমার বলেন, তাদের ওই পরিকল্পনা ছিল সবুজের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মত। আসমার আরো বলেন, ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারির মধ্যে প্রাচীন মিসরের প্রধান শহর হেলিওপোলিস আনুমানিক ৩ লাখ ৯৬ হাজার বর্গমিটার (প্রায় ১০০ একর) সবুজ এলাকা হারিয়েছে।
মিসরের পরিবেশগত রেকর্ড পরীক্ষা-নিরীক্ষার অধীনে রয়েছে, কারণ এ বছর নভেম্বরে লোহিত সাগর তীরের শহর শর্ম আল-শেখ-এ জাতিসংঘের আবহাওয়া সম্মেলন বা কপ-২৭ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
মিসরের পরিবেশ মন্ত্রকের একজন কর্মকর্তার কাছে শহুরে সবুজায়নের ক্ষতির বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে অন্যান্য আধিকারিকরা বলেছেন, রাস্তাগুলি সংস্কার করা হলে, ট্র্যাফিক বাবস্থা আরও উন্নত হবে এবং তারা প্রতিশ্রæতি দিয়েছে যে নতুন উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে বড় বড় পার্ক থাকবে এবং যতটা সম্ভব গাছপালা লাগানো হবে।কায়রোর বেশিরভাগ পুনঃডিজাইন এবং নতুন মহাসড়ক নির্মাণের লক্ষ্য হল শহরের উপকণ্ঠে নির্মাণাধীন একটি নতুন রাজধানীর পরিকাঠামো তৈরি করা। এটি প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসির একটি ফ্ল্যাগশিপ মেগা-প্রকল্প। সিসি বলেন, বছরের পর বছর ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতার পর, তিনি দেশটির অর্থনীতি পুননির্মাণ করছেন।
সা¤প্রতিক বছরগুলিতে, শহরগুলোর ঐতিহ্য রক্ষা করার জন্য কায়রোর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু তৃণমূল দল গড়ে উঠেছে। আসমার, ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত তেমনি একটি সংগঠন, হেলিওপলিস হেরিটেজ ইনিশিয়েটিভের একজন সদস্য।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা।