কাককথন । মুসা আল হাফিজ

প্রবন্ধ-কলাম সময় চিন্তা
শেয়ার করুন

হুমায়ূন আহমেদের (১৯৪৮-২০১২) বিখ্যাত এক উপন্যাস কবি। কাক নিয়ে প্রবাদতুল্য একটি উক্তি আছে বইটিতে। হুমায়ূনের হিউমারস্নিগ্ধ উক্তিটি হলো কাক ডাকে কা কা/ জগতটারে খা খা।

ইংরেজ কবি টেড হিউজ (১৯৩০-১৯৯৮)-এর বিখ্যাত ‘দ্য ক্রো’ গ্রন্থে কাক চিত্রিত হয়েছে বিচিত্র চরিত্রে। এডগার এলান পোর (১৮০৯- ১৮৪৯) জনপ্রিয় দ্য রেভেন কাব্যও কাককে উপস্থাপন করে অনিবার্য একটি পাখি হিসেবে, যার রয়েছে সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা।

‘রূপসী বাংলা’র কবি জীবনানন্দ দাশের (১৮৯৯-১৯৫৪) কাব্যে বহুব্যক্ত একটি পাখি হলো কাক। কালো কাকের পালকে ধূসর সন্ধ্যা দেখেন কবি। আবার তার কাকেরা আসে কবিতার প্রত্যুষে। কালো কাক নিয়ে আসে আলো।

‘সকালের কাকের ডাকে আলো আসে/ চেয়ে দেখি কালো দাঁড়কাক।’

জীবনানন্দ দাশের কবিতায় কাক হাজির হয়েছে ১২ বার। কাজী নজরুল ইসলামের (১৮৯৯-১৯৭৬) কবিতায় কাক প্রসঙ্গ এসেছে পাঁচ বার। জীবনানন্দের কবিতায় পাতিকাকের চেয়ে দাঁড়কাকের প্রসঙ্গ বেশি এসেছে।

পৃথিবীতে আছে প্রায় ৪০ প্রজাতির কাক। এরা সাধারণত ২০-৩০ বছর বাঁচে। উত্তর আমেরিকান কিছু কিছু কাক প্রায় ৫৯ বছর পর্যন্ত বাঁচে। এদের বৈজ্ঞানিক নাম ‘Corvus Brachyrhynchos’। কাকের উদ্ভব মধ্য এশিয়ায় হলেও পরে এটি ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা ও আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের দেশে প্রধান কাক হলো দাঁড়কাক ও পাতিকাক। কিছু পাহাড়ি কাক চোখে পড়ে বন ও পাহাড়ি অঞ্চলে।

দাঁড়কাক যতটা নাগরিক, তার চেয়ে বেশি গ্রাম্য। এ কাকের আকার মাঝারি। এরা সর্বভুক, খাবারে বাছবিচার নেই। তবে তাদের মূল খাদ্য পাখির বাসার ডিম-ছানা, ইঁদুর, কাঠবিড়ালির ছানা-মাংস, মাছের নাড়িভুঁড়ি, বিভিন্ন রকম ফল ও গেরস্থ বাড়ির উঠানে ছড়ানো ভাত। প্রায়ই হাঁস-মুরগির ছানা কৌশলে শিকার করে এই কাক।

দাঁড়কাক চকচকে কালো রঙের পাখি। পা ও ঠোঁট কালো। তার ঠোঁট শক্ত, মোটা। আকারে সে চিলের চেয়ে ছোট। গাঢ় রবে সে ডাকে কা কা, শুনতে কর্কশ মনে হয়। তার সুর ফ্যাঁসফ্যাঁসে। দাঁড়কাকেরা একাকী, জোয়ায় কিংবা কয়েকটি একত্র হয়ে থাকে। তাদের প্রজননকাল মার্চ থেকে মে মাস। বড় বড় গাছে শুকনো-সরু ডাল-কঞ্চি ইত্যাদি দিয়ে বাসা বানিয়ে তাতে ডিম দেয় ৩-৫টি। ডিম ফুটে ছানা হয় ১৯-২২ দিনে। ছানারা উড়তে শেখে ২২-৩০ দিনে।

বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমারেও রয়েছে দাঁড়কাক। সাধারণত এরা গ্রামে থাকে, জংলা পরিবেশ এদের পছন্দ, শহরে এদের দেখা মেলে কম।

পাতিকাক মানুষলগ্ন পাখি। কর্ভিডি গোত্রের চেনা এই পাখি খায় অবাঞ্ছিত জিনিস, থাকে সাধারণত অবাঞ্ছিত জায়গায়। যেনতেন প্রকারে বাসা বানিয়ে বংশবৃদ্ধি করে। যে এলাকায় নোংরা যত বেশি, পাতিকাকের কাছে সেই এলাকা তত উপাদেয়। মানুষের মল থেকে নিয়ে শিকারি প্রাণীর ছিনিয়ে নেয়া শিকার কাকের খাদ্যতালিকায় আছে। হাঁস-মুরগির ছানা, পোকামাকড়, ফলমূল, বড় বড় ফুলের মধু, ফসলের বীজ, পাখির ডিম, ছোট সরীসৃপ, সাপ, ব্যাঙ কোনো কিছু বাদ নেই তার খাদ্যতালিকা থেকে। তাদের পছন্দের খাবার অধিক জোগান দেয় শহরের ভাগাড়। শহরাঞ্চলে তাই তাদের দেখা যায় বেশি। পাতিকাকের মাথার পেছন থেকে গলা ও বুক এবং পেটের সামনের দিকটা ধূসর বা ফ্যাকাসে ধূসর; বাকি সারা দেহ, ঠোঁট, চোখ ও পা কালো। মাথার তালু, কপাল ও গলার নিচের দিকটাও কালো। ঠোঁট দাঁড়কাকের মতো, তবে একটু কম বাঁকা। ঠোঁটে গোঁফ দেখা যায়। দৈর্ঘ্য ৪২ থেকে ৪৪ সেন্টিমিটার। প্রতিটি ডানার দৈর্ঘ্য ২৫ থেকে ২৭.৫ সেন্টিমিটার। ওজন ২৫০ থেকে ৩৫০ গ্রাম।কর্কশ আওয়াজে পাতিকাক ডাকে কা-কা-কা। গলা কর্কশ বটে, কাকের গলায় আছে স্বরতলি, যা তাকে গায়ক পাখি বলে চিহ্নিত করে। এ স্বরতলি নেই কোকিলেরও! বিপদ দেখলে পাতিকাকেরা দলবেঁধে তারস্বরে চিৎকার শুরু করে।

পাতিকাকের প্রজনন ঋতু মূলত মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত, তবে কোথাও কোথাও এর ভিন্নতা চোখে পড়ে। কোকিল, চোখগেলো, পাপিয়াসহ অন্যান্য পরজীবী পাখি পাতিকাকের বাসায় ডিম পেড়ে যায়, পাতিকাক সেই ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায় আর লালনপালন করে। পাতিকাক একবারে ৩-৬টি ডিম দেয়। ডিমের রঙ সবজে-আকাশি, তার উপর কালচে-বাদামি ফোঁটা।

স্ত্রী কাকই মূলত ডিমে তা দেয়। ঝড়-বৃষ্টিতে তো বটেই, অন্য সময়েও ডিমে তা দিতে সাহায্য করে পুরুষ কাক।

১৬ থেকে ১৭ দিন ডিমে তা দেয় পাতিকাক। তারপর বাচ্চা বের হয় ডিম ফুটে। যে ছানা জন্ম নিলো, তার গায়ে পালক থাকে না, চোখ থাকে বন্ধ। দেহের বর্ণ আর ঠোঁট থাকে গোলাপি। ৭-১০ দিন বয়সী ছানার শরীর কালচে হয়, ঠোঁট কালচে-ধূসর। চোখ হয় কালো। ২১ থেকে ২৮ দিন পর ছানারা বাসা ছাড়ে।

এরপর পাতিকাক প্রবেশ করে জীবনযুদ্ধের নতুন বাস্তবতায়। এ বাস্তবতায় দাঁড়কাক, পাতিকাক খুব আলাদা নয়। বুদ্ধিমত্তা কাকদের জীবনযাত্রাকে দেয় বিশেষ মাত্রা। কাকের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণার জন্য বিখ্যাত পাখিবিশারদ ম্যাকগোয়ান। তার মতে, কাক চেহারা দেখে মানুষ ও প্রাণী চিনতে পারে, এমনকি কারো চেহারা দেখে ভয় পেতে পারে। কাকের আছে মনে রাখার ক্ষমতা বা স্মৃতিশক্তিও। একেকজন মানুষ যে একেকরকম এবং তাদের সাথে যে ভিন্ন ভিন্নভাবে ব্যবহার করা উচিত, এ নিয়ে এদের ভালো ধারণা রয়েছে। কাকেরা যাদের সাথে আগে পরিচিত হয়, তাদের সাথে পরবর্তী যেকোনো যোগাযোগে তুলনামূলকভাবে বেশি সহজ বোধ করে।

২০১৫ সালে অ্যানিমেল বিহেভিয়র জার্নালে দেখানো হয় যে, নির্দিষ্ট একটি গবেষণায় একদল গবেষক মুখে মুখোশ পরে, কাকের মৃতদেহ নিয়ে ওয়াশিংটনের বিভিন্ন অংশে ঘুরে বেড়ান। পরবর্তীতে একই মুখোশ পরে হাতে কোনো কাকের মৃতদেহ ছাড়া গেলেও এই গবেষক দলের উপরে আক্রমণ করে কাকেরা।

কাক খুব চতুর এবং সঙ্ঘবদ্ধতায় বিশ্বাসী। ভোরের আলো ফোটার আগেই কাক জেগে ওঠে। কা-কা স্বরে শুরু করে দিনের কাজ। প্রবল বৃষ্টি আর শীতে এরা গাছের ডালে দিব্যি বসে থাকে। বৃষ্টিতে জবুথবু হয়ে ভিজে হয় একাকার। সেই থেকে জন্ম নিয়েছে প্রবচন- কাকভেজা। গোসল কাকের প্রিয় অভ্যাস। খায় আবর্জনা, শরীরে থাকে দুর্গন্ধ। কিন্তু এরা শরীর পরিচ্ছন্ন রাখতে থাকে যত্নবান। যা মনে করিয়ে দেয় আমাদের দুর্নীতিবাজ কর্তা ও নেতাদের কথা। হালাল- হারামে তাদের বাছবিচার নেই। নিজেদের পেট ও মনকে করে রাখেন নষ্ট জিনিসে একাকার। কিন্তু বাইরের পরিপাট্য দিয়ে নিজেদের পরিচ্ছন্ন ভাবমর্যাদা গড়তে থাকেন যত্নবান। কিন্তু তাদের এ প্রয়াস কাকের গোসলের সম্মান পেতে পারে না। কারণ কাক গোসল করে আপন সহজাত অভ্যাসে। তাদের বাহ্যিক পরিপাট্য কৃত্রিম ও লোক দেখানো।

কাক খুব সংসারী। এক স্ত্রীতে সন্তুষ্ট থাকে পুরুষ কাক। স্ত্রী মারা গেলে আর দ্বিতীয় সঙ্গী কোনো দিনই বেছে নেয় না। কাক একবার সন্তান জন্ম দেয়ার পর দ্বিতীয়বার সন্তান জন্ম দেয় না। এ কারণে কাকের উপাধি হচ্ছে ‘সকৃৎপ্রজা’ বা একবারই সন্তানদাত্রী।

কাকেরা দলবদ্ধ জীবনযাপন করে। সঙ্কটে হয় অধিকতরো ঐক্যবদ্ধ। একটি কাক আক্রান্ত হলে চার পাশের অন্য কাকেরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, সক্রিয় হয়। আমরা কি তা পারি; পারি কি সব সময়? মানুষের জন্য মানুষ হিসেবে দায়িত্ব পালনে আমরা কি স্বার্থবুদ্ধির দ্বারা তাড়িত হচ্ছি না খুব বেশি? আমরা কি আত্মকেন্দ্রিকতায় শাসিত হচ্ছি না খুব করে। যার ফলে তৈরি হচ্ছে এমন স্বার্থদৃষ্টি, যা বৃহত্তর অর্থে আমাদের স্বার্থেরই হানি ঘটায়!

একটি কাক মারা গেল। দলগতভাবে শোক প্রকাশ করে সব কাক। কাকের কোনো মৃত্যুই কাককে আনন্দ দেয় না। এক কাকের মাংস যায় না অন্য কাকের পেটে!

ভাত ছিটালে কাকের অভাব হয় না, এটি সত্য। তবে টাকা ছিটালে রাজনৈতিক নেতা হতে বাধা থাকে না, এটি আরো বেশি সত্য। কোনো কোনো জায়গায় লোকেরা কাক দেখলেই খাবার ছিটিয়ে দেন।

সেখানকার কাক অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকে। মানুষ দেখলে ভয় পায় না। তবে কিছু জায়গায় ঘটেছে এর বিপরীত ঘটনাও।

নিজেদের প্রয়োজন পূরণে কৌশলী হওয়ার জন্য কাকের খ্যাতি রয়েছে। প্রয়োজনে তারা উদ্ভাবন করতে পারে পদ্ধতি। ঈশপের ‘কাক ও কলসি’ গল্পে আছে তারই স্বাক্ষর! তৃষ্ণার্ত সেই কাক, কলসির তলানিতে পড়ে থাকা পানি পান করার জন্য বুদ্ধি করে কলসিতে একের পর এক নুড়ি পাথর ফেলেছিল। অনেক চেষ্টার পর আপন কাজে সফল হয়েছিল সে।

আধুনিক বাস্তবতায় কাকের উদ্ভাবনী বুদ্ধির নমুনা হতে পারে বাদাম খেতে জাপানি কাকের গাড়ির ব্যবহার। কাকগুলো ঠোঁটে করে বাদাম এনে সড়কের মধ্যে ফেলে দেয়। তারপর বসে থাকে ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি ও ল্যাম্পপোস্টের ওপর। সবুজ বাতি জ্বলে, গাড়ি চলে। চলন্ত গাড়ির চাকায় বাদাম পিষ্ট হয়। যখন ট্রাফিক লাইট বদলে লাল হয়ে যায়, তখন কাকেরা চুপ করে উড়ে এসে খোসামুক্ত বাদাম খায়।

সব কাক এমনটি পারে তা নয়। অনেক কাকই ভুল করতে করতে রপ্ত করে নেয় পদ্ধতিটি।

নগর সভ্যতায় মানুষের প্রতিবেশী কাক। সে আধুনিক মানুষের মতো আধুনিক হতে পারবে না। কিন্তু কিছু কাক প্রযুক্তি জ্ঞান রপ্ত করে মানুষের প্রায় কাছাকাছি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হতে চলেছে। এই যন্ত্রবিশ্বে কাক রপ্ত করে নিয়ে নিয়েছে যন্ত্রপাতির ব্যবহারকলা। সে শুধু যন্ত্র ব্যবহার করতে পারে তাই নয়, যন্ত্রপাতি নির্মাণেও কিছুটা পারদর্শী হয়েছে।

কাক সম্পর্কে আমাদের সমৃদ্ধ করে নাথান জে এমারি ও নিকোলা এস ক্লেটন নামক দুই গবেষকের বিখ্যাত রচনা ‘The Mentality Of Crows: Convergent evolution Of Intelligence in Corvid and Apes’। এতে তারা দেখান, বুদ্ধির দিক থেকে কাক শুধু পাখিদের পেছনে ফেলেছে এমন নয়। জ্ঞান ও বুদ্ধির দৌড়ে মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাইমেটদের প্রতিদ্ব›দ্বী হলো কাক ও করভিড পরিবারের সদস্যরা।

গুপ্তচরবৃত্তির বুদ্ধি আছে কাকের। এই সেদিন, স্নায়ুযুদ্ধের কালে আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ গুপ্তচর হিসেবে ব্যবহার করত কাককে। অতীতেও এ ব্যবহার বিদ্যমান ছিল রাজায় রাজায়, রাজ্যে-সাম্রাজ্যে।

সিআইএ’র প্রশিক্ষিত কাক প্রতিপক্ষের জানালায় গোপন মাইক ফেলে আসত। ৪০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের কোনো বস্তু গোপন জায়গায় যেমন ফেলে আসত, তেমনি নিয়ে আসত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার চোখে ধুলো দিয়ে।

লেজার তাক করে কোথায় নির্ধারিত বস্তুটি ফেলতে হবে সেই টার্গেট বুঝিয়ে দেয়া হতো কাককে। আর ছোট বাতির মাধ্যমে সঙ্কেত দিয়ে তাকে ফিরে আসতে সাহায্য করা হতো।

সচেতনতা ও বুদ্ধিমত্তা সত্তে¡ও সবচেয়ে উপেক্ষিত পাখি কাক। যদিও সে মানুষের উপকার করে, অপকার করে না। পরিবেশকে দেয় সুরক্ষা, লাঘব করে উচ্ছিষ্ট বর্জ্যভার।

সাবান চুরি করে কাক। সুযোগ পেলেই। যেভাবে চুরি করে হাস-মুরগির ছানা। হাস- মুরগির ছানা খেয়ে ফেলে মজা করে। কিন্তু সাবান রাখে লুকিয়ে। লুকিয়ে রাখার সময় চোখ বুজে থাকে, যেন কেউ না দেখে। কিন্তু চোখ বন্ধ রাখার ফলে সেই সাবান সে নিজেই আর খুঁজে পায় না প্রায়ই।

দুর্নীতিবাজ কর্তা ও রাজনীতিকরা এখানে কাকের চেয়ে চালাক বহুগুণ। তারা চুরি করে চোখ বন্ধ করে তা গোপন জায়গায় লুকিয়ে রাখার ভুল করেন না। পাচার করে দেন বিদেশে। সেখানে গড়ে ওঠে সম্পদের পাহাড়। সেই সম্পদের ওপর দাঁড়িয়ে তারা হন বড়লোক, সমাজের অভিজাতজন। কিন্তু নৈতিকতায় তারা কি একটি কাকের সমান?

কাক চুরি করে, আবর্জনা খায়, এতে সে বাধ্য। এভাবেই তাকে বেঁচে থাকতে হয়। কিন্তু বেঁচে থাকার প্রতিটি ধাপে সে মানুষ ও প্রকৃতির উপকার করে চলে। কিন্তু দুর্নীতিবাজ কর্তা ও রাজনীতিক মানুষের আপদ ছাড়া আর কী ধারণ করেন কৃতকর্মে? কাক ডাকে বটে কা কা, কিন্তু এর অর্থ যে জগতটারে খা খা, সেটা কাক জানে না, জানে এসব খাদক-দুর্নীতিবাজ!

লেখক : কবি, গবেষক ই-মেল : 71.alhafij@gmail.com

আরও পড়ুন
কোথাও আগুন লাগলে সতর্কতার জন্য যা করবেন, যা করবেন না
আগুনে পুড়লে মৃত ব্যক্তির মর্যাদা ও আগুন লাগলে যে দোয়া পড়বেন
দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স; প্রয়োজন সতর্কতা
দেহকে সুস্থ রাখবে অ্যালোভেরা
বসন্তের বাতাসে অ্যালার্জির প্রবণতা, একটু গাফিলতি হলেই মারাত্মক বিপদ
রাসূল সা: প্রবর্তিত খাদ্যবিজ্ঞান । ডা: মো: তৌহিদ হোসাইন
তরমুজের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
যে খাবারে শিশুর উচ্চতা বাড়ে
ইন্ডাস্ট্রির সকলের স্বার্থে কপিরাইটের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছিঃ ফাহিম ফয়সাল
অতিরিক্ত আবেগ মনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে
আক্ষেপ প্রকাশ করলেন ‘ছুটির ঘণ্টা’র নির্মাতার মেয়ে বিন্দি
ওজন কমাতে সাহায্য করে যে সকল খাবার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *