কবি মুসা আল হাফিজ কেমুসাস আহবাব স্বর্ণপদকের জন্যে মনোনীত

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সিলেট
শেয়ার করুন

দেশের প্রাচীনতম সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ প্রবর্তিত ‘কেমুসাস দেওয়ান আহবাব স্বর্ণ পদক-২০২৫’-এর জন্য বিশিষ্ট গবেষক, অনুবাদক, কবি মুসা আল হাফিজকে মনোনীত করা হয়েছে।

‘কেমুসাস দেওয়ান আহবাব স্বর্ণ পদক ব্যবস্থাপনা কমিটি’র সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মনোনীত ব্যক্তির নাম ঘোষণা করা হয়।

ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব সেলিম আউয়ালের সঞ্চালনায় সাহিত্য সংসদ কার্যালয়ে শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন শাবিপ্রবি’র সাবেক ডিন প্রফেসর ড. কামাল আহমদ চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহিন, কেমুসাস-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, পদকের দাতা সদস্য যুক্তরাজ্যের সলিসিটর দেওয়ান মাহদি।

প্রখ্যাত লেখক, রাজনীতিবিদ, সমাজসংস্কারক, দেওয়ান আহবাব চৌধুরী বিদ্যাবিনোদ (এমএলএ)’র স্মৃতিরক্ষা তথা অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণে তার অবদানকে তুলে ধরা ও নতুন প্রজন্মকে তার চেতনায় উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে কেমুসাস এ পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ সন্ধ্যায় কেমুসাস’র ৮৮ বর্ষের বার্ষিক সাধারণ সভায় কবি মুসা আল হাফিজকে স্বর্ণপদকটি তুলে দেয়া হবে।

মুসা আল হাফিজ কবি, গবেষক, অনুবাদক, কথাশিল্পী, ইতিহাসবিদ, কলামিস্ট, সুবক্তা। তিনি ১৯৮৪ সালের ৫ অক্টোবর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার আমতৈল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে ১১ বছর বয়সে কুরআন মজিদের হিফজ সম্পন্ন করেন। ২০০৭ সালে কৃতিত্বের সাথে তাকমিল ফিল হাদিস এবং ২০০৮ সালে তাফসীরে বিশেষায়িত ডিগ্রি অর্জন করেন।

সে বছরই জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ তরুণ আলেম হিসেবে পুরস্কৃত হন মুসা আল হাফিজ। ২০০৯ সালে কর্মজীবনের শুরু বিশ্বনাথ জামেয়া মাদানিয়ায় হাদীস ও তাফসীরের শিক্ষকতা এবং মাসিক আল ফারুকের উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে। ২০১৬ সালে উচ্চতর ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামেয়াতুল খায়র আল ইসলামিয়া সিলেট-এ বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৯ সালে ঢাকার যাত্রাবাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামি দাওয়াহ ও গবেষণা কেন্দ্র মাহাদুল ফিকরি ওয়াদদিরাসাতিল ইসলামিয়া। বর্তমানে ইসলামিক হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

নানা বিষয়ে তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ষাটের অধিক। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ঈভের হ্রদের মাছ (কবিতা), ঐন্দ্রজালিক আত্মজীবনী (আত্মকথন), প্রাচ্যবিদের দাঁতের দাগ, (গবেষণা), ইসলামোফোবিয়ার উজানে ( প্রবন্ধ) মহাসত্যের বাঁশী জালালুদ্দীন রুমী (জীবনী), অনিবার্য ইবনে খালদুন ( প্রবন্ধ) , দৃশ্যকাব্যে ফররুখ আহমদ (সাহিত্য সমালোচনা), বাংলা সাহিত্যে অন্ধকার যুগ: মিথ বনাম বাস্তবতা (সাহিত্য সমালোচনা), ছড়াবৃন্দ ( ছড়া) জাতিগত বিজয়ের অদৃশ্য কারিগরি (আলোচনাগ্রন্থ), আত্মগত দার্শনিক (উপন্যাস)।
বার্তাপ্রেরক:

* সেলিম আউয়াল, সদস্যসচিব, কেমুসাস দেওয়ান আহবাব স্বর্ণপদক ব্যবস্থাপনা কমিটি, কেমুসাস, সিলেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *