(বন্ধুবর কবি মুকুল চৌধুরী, হৃদয়বরেষু)
তোমার কবিতা পড়ে মনে হয়
হতাশাবোধ কোন কাল ই স্পর্শ করেনি তোমাকে!
কেবলই এক আশা জাগানিয়া প্রেরণা
জীবনের উৎস থেকে টেনে নিয়ে গেছে
এক সঘন সবুজ উপত্যকার দিকে
তলদেশে যার ঝর্ণাধারা চঞ্চল প্রবাহিত!
সন্নিবিষ্ট দৃষ্টি সদা ঝলমলে সে তোরণের দিকে
যার আহবানে বিচলিত ছিলে সারাক্ষণ!
সে মহান পুরুষ যার শাণে কবিতা লিখেছো অনেক
আর তাঁর অনুসারী
যাদের প্রশংসার সুগন্ধ বয়ে যাচ্ছে আজও অবধি….
এ ই তোমার কবিতার সারাৎসার!
সুন্দরের যাবতীয় সংজ্ঞা তোমার কবিতা
বোধ ও বোধির প্রাজ্ঞতা তোমার কবিতা
আমার আমিকে খুঁজে পাওয়া তোমার কবিতা
ত্রিকালজ্ঞের পূর্ণতা তোমার কবিতা!
পথহারা মানুষেরা পথ পেয়েছি তোমার কবিতায়
ভেসে যেতে যেতে সবল দাঁড়িয়েছি তোমার কবিতায়!
ইতিবাচকতায় পুনরুত্থান সে তোমার কবিতা
দৃঢ় এক তর্জনি ইশারা তোমার কবিতা
সমূহ পতন থেকে রক্ষা করে তোমার কবিতা
হতাশা আঁধার থেকে আশা জাগানিয়া তোমার কবিতা!
দেখো দিগন্তে নতুন আলোর ঝলকানি
আর আঁধার সে তো ক্ষণস্থায়ী
ব্যর্থ নয় তোমার যতো কবিতা লেখা!
পদধ্বনি শুনছো না
ওরা আসছে, বখতিয়ারের ঘোড়ায় চড়ে
খুরের ঝটিকায় চূর্ণ করে পাথর ও মৃত্তিকা
সোয়া’শ কবর ফেটে যাচ্ছে আজ
মুছে যাচ্ছে যাবতীয় যবনিকা…!
পিতা প্রপিতামহের মিছিল যোগ দেয় নব প্রজন্মে
কে বলে ব্যর্থ তোমার কবিতা লেখা
জরিন হরফে দেখো ঝলোমলো পতাকায়
আমাদের মিছিলে মিছিলে সে পদরেখা!
* ১৯.০২.২৫ ঈসায়ী।