ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর যুদ্ধ গড়িয়েছে ১৬তম দিনে। এখনো ইউক্রেনে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা। তাদের ঠেকাতে সাধ্যমতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। এই লড়াইয়ে ইউক্রেন সেনাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বেসামরিক লোকজনও। যুদ্ধে বহু হতাহত হয়েছে। ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে পুরো ইউক্রেন। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে পাশের দেশগুলোতে অন্তত ২৫ লাখ মানুষ শরণার্থী হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এই যুদ্ধ থামাতে কূটনৈতিক সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অনেক দেশ। সম্প্রতি এ বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা হয় এরদোগানের। ফোনে আলোচনার সময় ইউক্রেন পরিস্থিতি ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন দুই নেতা।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, এই দুই নেতা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ফোনে কথা বলেন। জো বাইডেনকে এরদোগান বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এ বিষয়ে সমাধানের পথ খুঁজতে সহায়তাকারী হিসেবে কাজ করছে তুরস্ক।
২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই তুরস্কের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। যদিও বৈঠক থেকে কোনো সমাধান বের করতে পারেনি কোনো দেশই।
ফোনালাপে বাইডেনকে এরদোগান বলেন, তুর্কি প্রতিরক্ষা খাতের ওপর থেকে সব ধরনের অন্যায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার এখন সময় এসেছে। এই সংঘাতের কূটনৈতিক সমাধানে তুরস্কের চলমান প্রচেষ্টায় বাইডেন ‘প্রশংসা’ করেছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।