তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগানকে আসন্ন নির্বাচনে হারানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন বিরোধীরা। এ লক্ষ্যে বিরোধী ছয়টি দল মিলে একটি জোট গঠন করা হয়েছে। জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে— যদি আগামী নির্বাচনে জোটটি বিজয়ী হতে পারে, তবে তুরস্কে আবারও সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।
‘টেবিল অব সিক্স’ বা ‘ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স’ নামের জোটটি গত ৩০ জানুয়ারি, সোমবার নির্বাচনপরবর্তী ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ‘টেবিল অব সিক্স’-এ থাকা অন্য দলগুলো হলো– গুড পার্টি, ফেলিসিটি পার্টি, ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, প্রোগ্রেস পার্টি ও ফিউচার পার্টি।
জোটের নেতা ও প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি তথা সিএইচপির উপপ্রধান ফাইক ওজতার্ক বলেছেন, আমরা শক্তিশালী সংসদীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন করব। সেই সঙ্গে উদার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে, যেখানে থাকবে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ।
তিনি আরও বলেন, তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের পাশাপাশি সংসদের ভূমিকা এবং স্বাধীন বিচারব্যবস্থা রয়েছে।
ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনে এরদোগানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জোটের পক্ষ থেকে একক প্রার্থী দেবে ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স। যদিও তারা প্রার্থীর নাম এখনো ঘোষণা করেননি। আগামী ১৪ মে তুরস্কে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিগত ২০ বছর ধরে তুরস্ক শাসন করছেন এরদোগান। ২০১৮ সালে তার সরকার প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা বাতিল করে প্রেসিডেন্ট সিস্টেম চালু করে। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্টকে অনেক ক্ষমতা প্রধান করে দেশটির পার্লামেন্ট।
এর আগে ২০১৬ সালে এরদোগানকে হটাতে সামরিক অভ্যুত্থান হয়, যা ঠেকিয়ে দিতে সমর্থ হয় দেশটির জনগণ। মূলত তার পরই বিভিন্ন বিষয় শক্ত হাতে দমন করতে হয় তুর্কি নেতাকে। এ কারণে বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্র কায়েমের অভিযোগ করে আসছে।