ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তার জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইল ৫০টি ‘হলোকস্ট’ বা গণহত্যা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করার পর ইসরাইলি এবং জার্মান নেতারা এর তীব্র নিন্দা করেছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি জার্মানি ইউরোপে গণহারে যে ইহুদি নিধন চালিয়েছিল, সেটিকে ‘হলোকস্ট’ বলে বর্ণনা করা হয়।
মাহমুদ আব্বাস মঙ্গলবার বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের সময় এই মন্তব্য করেন। শোলৎজ সেসময় এ নিয়ে কিছু বলেননি, তবে পরে তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাসের মন্তব্যকে ‘অসহনীয় এবং অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেন।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ইওরি লাপিদ বলেছেন, আব্বাসের এই অভিযোগ কেবল একটি নৈতিক অবমাননা নয়, এটি ‘ডাহা মিথ্যা’।
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘হলোকস্টে হত্যা করা হয়েছিল ৬০ লাখ ইহুদিকে, আর এর মধ্যে ১৫ লাখ ছিল ইহুদি শিশু। ইতিহাস তাদের কখনো ক্ষমা করবে না।’
এই সমালোচনার পর ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এক বিবৃতিতে, ‘হলোকস্টকে আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ’ বলে বর্ণনা করেন।
প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বার্লিন সফরে গিয়েছিলেন জাতিসঙ্ঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের চেষ্টায় জার্মানির সমর্থন আদায়ের জন্য। সেইসাথে ইসরাইলের সাথে যে শান্তি আলোচনা থমকে আছে সেটি পুনরায় চালু করার লক্ষ্যে জার্মানির সাহায্য চাওয়ার জন্য।শোলৎজের সাথে ফেডারেল চ্যান্সেলরিতে সাক্ষাতের পর প্রেসিডেন্ট আব্বাসের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, মিউনিখ অলিম্পিকসের সময় ফিলিস্তিনি চরমপন্থীরা ইসরাইলি অ্যাথলিটদের ওপর যে হামলা চালিয়েছিল, সেই ঘটনার ৫০তম বার্ষিকীর আগে তিনি ইসরাইল এবং জার্মানির কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোনো পরিকল্পনা করছেন কিনা।
এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে আব্বাস বলেন, ‘যদি অতীত নিয়ে কথা বলতে চান, বলা যাক। ১৯৪৭ সাল হতে আজ পর্যন্ত, ইসরাইল, ফিলিস্তিনি গ্রাম এবং শহরগুলোতে ৫০টি হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে- ডিয়ের ইয়াসিন, টানটুরা, কাফর কাসিম এবং আরো বহু জায়গায়- ৫০টি গণহত্যা, ৫০টি হলোকাস্ট। এবং আজকে পর্যন্ত, প্রতিদিন ইসরাইলি বাহিনীর হাতে মানুষ নিহত হচ্ছে।’
আব্বাস যখন কথা বলছিলেন, তখন ওলাফ শোলৎজকে ভুরু কুঁচকাতে দেখা যায়। তবে সংবাদ সম্মেলনটি শেষ হওয়ার আগে শোলৎজকে এই কথার কোনো নিন্দা করতে দেখা যায়নি। সংবাদ সম্মেলন শেষে বিদায় নেয়ার আগে তারা দুজন করমর্দনও করেন।
জার্মানির প্রধান বিরোধী দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের (সিডিইউ) নেতা ফ্রিডরিখ মার্জ এক টুইটে এই সংবাদ সম্মেলনকে ‘অবিশ্বাস্য’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, শোলৎজের উচিৎ ছিল সাথে সাথে মাহমুদ আব্বাসের কথার প্রতিবাদ জানানো এবং তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলা।
তবে ওলাফ শোলৎজ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরে জার্মানির বিল্ড সংবাদপত্রে এক বিবৃতি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের বক্তব্যের নিন্দা করেন। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আব্বাস যে মন্তব্য করেছনে, তাতে আমি খুবই বীতশ্রদ্ধ। আমাদের জার্মানদের কাছে হলোকস্টের মতো একটি ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনো কিছুর তুলনা একেবারেই অসহ্য এবং অগ্রহণযোগ্য। হলোকস্টের অপরাধকে অস্বীকার করার যেকোনো চেষ্টার আমি নিন্দা করি।’
সূত্র : বিবিসি
আরও পড়ুন
কোথাও আগুন লাগলে সতর্কতার জন্য যা করবেন, যা করবেন না
আগুনে পুড়লে মৃত ব্যক্তির মর্যাদা ও আগুন লাগলে যে দোয়া পড়বেন
দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স; প্রয়োজন সতর্কতা
দেহকে সুস্থ রাখবে অ্যালোভেরা
বসন্তের বাতাসে অ্যালার্জির প্রবণতা, একটু গাফিলতি হলেই মারাত্মক বিপদ
রাসূল সা: প্রবর্তিত খাদ্যবিজ্ঞান । ডা: মো: তৌহিদ হোসাইন
তরমুজের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
যে খাবারে শিশুর উচ্চতা বাড়ে
ইন্ডাস্ট্রির সকলের স্বার্থে কপিরাইটের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছিঃ ফাহিম ফয়সাল
অতিরিক্ত আবেগ মনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে
আক্ষেপ প্রকাশ করলেন ‘ছুটির ঘণ্টা’র নির্মাতার মেয়ে বিন্দি
ওজন কমাতে সাহায্য করে যে সকল খাবার