‘আজিজের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীই ব্যবস্থা নেবে’

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর, ‘আজিজের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীই ব্যবস্থা নেবে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য থাকলে, তার বিচার সেনাবাহিনী করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আদালত যে ব্যবস্থা নিচ্ছেন, তাতে সরকারের সমর্থন রয়েছে বলে তিনি জানান।

দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গত সোমবার সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সাবেক সেনাপ্রধানও ধরা পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিলেও বিষয়টি তো জনসমক্ষে চলে এসেছে।’

সাংবাদিকেরা তখন বলেন, সাবেক সেনাপ্রধানের বিষয়ে সরকার তো কিছু করেনি। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কিছু করেনি মানে, সেনাবাহিনী কিছু করবে।’ ‘অবসরে যাওয়ার পরও সেনাবাহিনী কিছু করতে পারে।’

এছাড়া ঋণখেলাপিদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে। সে অনুযায়ী ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ব্যাংকের অর্থ সংকট নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর, ‘ব্যাংকে নগদ অর্থের প্রবল সঙ্কট: একদিনে ৩০ হাজার কোটি টাকা ধার’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মুদ্রাবাজারে অস্থিতিশীলতা ঠেকাতে সঙ্কটে পড়া ব্যাংকগুলোকে টাকার সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক দিনে ২৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

পাশাপাশি সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা কলমানি মার্কেট থেকে ধার নিয়েছে ব্যাংকগুলো। সব মিলে এক দিনে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ধার নিয়েছে সঙ্কটে থাকা ব্যাংকগুলো। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারল্য সঙ্কটের কারণ ও তা শুধরানোর ব্যবস্থা না করে এভাবে টাকার জোগান দিতে থাকলে ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না। এতে সাময়িকভাবে সমস্যা কাটলেও ভবিষ্যতে বড় বিপদ আসার আশঙ্কা করছেন তারা।

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, যারা ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে ঋণ নিয়েছেন, তারা টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। আবার প্রয়োজনীয় আমানতও পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ গ্রাহকদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে প্রতিদিনই নগদ টাকার প্রয়োজন হচ্ছে। আবার প্রতি ১৫ দিন অন্তত ব্যাংকগুলোর বাধ্যতামূলকভাবে নগদ জমা (সিআরআর) সংরক্ষণ করতে হচ্ছে।

এক দিকে গ্রাহকদের চাহিদা মেটানো, অন্য দিকে সিআরআর সংরক্ষণ, সব মিলেই নগদ টাকার সঙ্কটে থাকা ব্যাংকগুলোর নাভিশ্বাস অবস্থা দেখা দিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হাত পাততে হচ্ছে এসব ব্যাংককে।

রিমালের তাণ্ডব নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘জলোচ্ছ্বাস, ভেঙেছে বাঁধ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বরগুনার প্রধান তিন নদীতে জোয়ারের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের তোড়ে বরগুনার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড পশরবুনিয়া গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ প্রায় ৬০০ মিটার ভেঙে পায়রা নদীতে বিলীন হয়েছে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামতের কাজ শুরু করার কথা জানান। তার মতে, জেলার এক হাজার মিটার বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামসংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর থেকে পানি গড়িয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে সেখানকার চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

কক্সবাজারে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ২১টি গ্রাম। কক্সবাজার পৌরসভার নাজিরারটেক উপকূলে শুঁটকি উৎপাদনের মহাল রয়েছে প্রায় ৭০০টি। জোয়ারের পানিতে ৩০০টির বেশি মহাল পানিতে ডুবে গেছে। বরিশাল নগরের নিম্নাঞ্চলসহ অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দাদের ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় তারা ঘরবন্দী রয়েছে। এসব এলাকার গুরুত্বপূর্ণ একাধিক সড়ক চলে গেছে পানির নিচে। নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপসহ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাত হানা নিয়ে নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Cyclone Remal batters Bangladesh coast: Two die, 2 lakh flee to shelters’, অর্থাৎ, ‘বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাত: দুজনের মৃত্যু, ২ লাখ আশ্রয়কেন্দ্রে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রোববার বিকেলে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় রিমালের সম্মুখভাগ স্থলভাগে আছড়ে পড়লে দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলের বিস্তীর্ণ অংশ জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে।

রাতে বাতাসের তীব্রতা বাড়তে থাকায় এবং ঘন্টার পর ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির কারণে স্থানীয়রা আতঙ্কে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নের কাউয়ারচরে শাশুড়ি ও বোনকে উদ্ধার করতে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া সন্ধ্যায় শ্যামনগরের গাবুরার নাপিতখালীতে সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়ার পথে ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। দুপুর একটা নাগাদ সমুদ্রের পানি ফুসে উঠলে অনেকেই আটকা পড়েন এবং মাছের ঘের ভেসে যায়।

ঝড়ের কারণে কর্তৃপক্ষ রোববার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম স্থগিত করে এবং চট্টগ্রামে ডুবো এক্সপ্রেসওয়ে টানেল বন্ধ করে দেয়। শনিবার রাত থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথে নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-কলকাতা এবং ঢাকা-বরিশাল রুটের ফ্লাইটও বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর পায়রা ও মংলা সমুদ্র বন্দরের জন্য ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত জারি করেছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাটি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা ও পটুয়াখালীকেও ১০ নম্বর সংকেতের আওতায় রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমাল সুন্দরবনের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় তার শক্তি হারিয়েছে, আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সুন্দরবন সবসময় প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে কাজ করে।

রিমাল আঘাত হানার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর, ‘বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন দক্ষিণাঞ্চলের ৪০ লাখ গ্রাহক’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। গাছ পড়ে, লাইন ছিঁড়ে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আবার দুর্ঘটনা এড়াতে অনেক এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) এক কর্মকর্তা জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২৫ লাখ ৬৯ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎহীন এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে পটুয়াখালী, বাগেরহাট, ভোলা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও ঝালকাঠি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। মোবাইল কোম্পানিগুলো বিকল্প উপায়ে নেটওয়ার্ক চালু রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এমপি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রসঙ্গে যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘মৃত্যুর আগে সঞ্জীবায় স্বর্ণের দাবি’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ১৩ই মে এমপি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ-সদস্য মো. আনোয়ারুল আজিম আনারকে স্বর্ণ ব্যবসার নাম করে বন্ধু গোপালের বাড়ি থেকে সঞ্জীবা গার্ডেনের ফ্ল্যাটে ডেকে আনা হয়। খুন হওয়ার আগে মি. আনার ঘাতকদের কাছে স্বর্ণের দাবি করেন। তিনি বলেন, যে স্বর্ণ দেওয়ার কথা বলে আমাকে এখানে ডেকে আনা হয়েছে সেই স্বর্ণ কোথায়। আমাকে দ্রুত স্বর্ণ দিয়ে দাও, আমি চলে যাব। ঘাতকরা তাকে যে মিথ্যা কথা বলে ডেকে এনেছে তা ফ্ল্যাটে আসার পর বুঝতে পারেন তিনি। তবে তখন তার কিছুই করার ছিল না।

হত্যাকাণ্ডের মূল সমন্বয়কারী পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতা আমানুল্লাহ ডিবিকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিতে শুরু করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে এমপি আনার। এ কারণে এমপি আনারের ওপর আমানুল্লাহর দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। এছাড়া নিজের দল চালাতে অনেক টাকারও প্রয়োজন ছিল শিমুল ভূঁইয়ার।

এ পরিস্থিতিতে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের কাছ থেকে এমপি আনারকে খুনের বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকার প্রস্তাব আসে। এতে একদিকে বোনজামাই হত্যার প্রতিশোধ, অন্যদিকে মোটা অঙ্কের টাকার প্রলোভন-এ দুটি বিষয় সামনে আসায় হত্যা মিশন সফল করতে রাজি হয় আমানুল্লাহ। তবে তদন্ত কর্মকর্তারা বলেন, সংসদ-সদস্য মো. আনোয়ারুল আজিম আনারকে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ গুমের পেছনে শুধু পূর্ব বিরোধ, স্বর্ণ ব্যবসা বা চোরাচালানই যথেষ্ট কারণ নয়। এর পেছনে আরও অনেক বড় কারণ আছে।

এমপি আনারের হত্যা রহস্য তদন্ত প্রসঙ্গে ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর, ‘মেলেনি দেহাবশেষ, না পেলে মামলার নিষ্পত্তি করা যাবে না: হারুন’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের ভাঙরের এলাকার খালে তল্লাশি অভিযানের তৃতীয় দিনেও ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের দেহাবশেষের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

ডিএমপি ও এলাকার জেলেদের সাহায্য নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হলেও দুপুরের পর মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হাওয়ায় উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেন তদন্তকারীরা। উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া এক স্থানীয় জেলে জানান এভাবে দেহাবশেষ উদ্ধার করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।

এদিকে কলকাতায় তদন্তে এসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুনুর রশিদ বলেছেন, আশা করছি এমপির দেহ না হলেও দেহাংশ উদ্ধার করতে পারব। তা না পারলে এই কোণের মামলার নিষ্পত্তি করা যাবে না বলেও তিনি জানান। যদিও তিনি আশাবাদী এমপি আনারের খুনের রহস্য দ্রুত উন্মোচন হবে। তিনি বলেন মূল অভিযুক্তদের ধরতে প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সাহায্য নেয়া হবে।

সাবেক আইজিপির সম্পদ নিয়ে সমকালের প্রথম পাতার খবর, ‘বেনজীরের আরও সম্পদ জব্দের আদেশ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা আরও ১১৯টি দলিলের সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার ঢাকা মহানগর আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন। এর আগে গত ২৩শে মে আদালত বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের ৮৩টি দলিলের সম্পদ জব্দ ও ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেন।

এদিকে বিদেশে সাবেক আইজিপি বেনজীরের ও তাঁর পরিবারের সম্পদের তথ্য চেয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদনের প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।

আদালত যেসব সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন সেগুলো ঢাকা, সাভার ও মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ের নামে রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ঢাকার গুলশানে দুই হাজার ৪২ বর্গফুটের দুটি ও দুই হাজার ৫৩ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট এবং সাভারের তিন কাঠা জমি। এ ছাড়া তার চারটি কোম্পানির হিসাব, চারটি বিও অ্যাকাউন্ট ও ১৫টি আংশিক মালিকানাধীন কোম্পানির শেয়ার এবং সোনালী ব্যাংকের সঞ্চয়পত্রও রয়েছে।

সরকারের ঋণ নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘আড়াই বছরে সরকারের ঋণ বেড়েছে ৫ লাখ কোটি টাকার বেশি’। প্রতিবেদনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রকাশিত ডেবট বুলেটিনের তথ্য তুলে ধরা হয়। ওই তথ্যানুসারে গত আড়াই বছরে সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ বেড়েছে পাঁচ লাখ কোটি টাকার বেশি।

লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আহরণে প্রতি বছরই ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। রফতানি আয়ে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি নেই। এমন অবস্থায় বাজেট ঘাটতি মেটাতে স্থানীয় ও বিদেশী উৎস থেকে নেয়া ঋণের ওপর নির্ভর করছে সরকার। বিপুল অংকের এ ঋণ অর্থনীতিতে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

স্থানীয় উৎসের মধ্যে সরকার সাধারণত ট্রেজারি বিল, বন্ড ও সুকুকের মাধ্যমে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। এর বাইরে সঞ্চয়পত্র ও সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে ব্যাংক-বহির্ভূত উৎস থেকেও ঋণ নেয় সরকার। গত আড়াই বছরে ব্যাংক ও ব্যাংক-বহির্ভূত দুই খাত থেকেই নেয়া ঋণের পরিমাণ বেড়েছে।

স্টক মার্কেটের দুরাবস্থা নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Stocks shed 1,000 points in 3 months’ অর্থাৎ. ‘৩ মাসে স্টক ১,০০০ পয়েন্ট কমেছে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অর্থনৈতিক সূচকের আরও অবনতির আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা তাদের হোল্ডিং বিক্রি চালিয়ে যাওয়ায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মূল সূচকটি তিন মাসের ব্যবধানে এক হাজার পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে চালু হওয়া ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করার পর থেকে সূচকটি তীব্রভাবে হ্রাস পাচ্ছে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বাজারের পতন রোধ করার জন্য এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। ডিএসইএক্স, ডিএসইর বেঞ্চমার্ক সূচক, ২৭শে ফেব্রুয়ারি থেকে এক হাজার ২২ পয়েন্ট বা ১৬ শতাংশ কমে পাঁজ হাজার ২৫০-এ দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন বা শেয়ারমূল্য কমেছে এক লাথ ১৪ হাজার৮৪৫ কোটি টাকা বা ১৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যানের মতে, “প্রধানত বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচকের অবনতির কারণে সূচকের পতন হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কে রয়েছে, তাই তারা শেয়ার বিক্রি করে চলেছে।” – বিবিসি বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *