এই যে অবিন্যস্ত তোমাকে সাজাতে
অক্ষর আশ্রিত আমি
শব্দতরঙ্গে মাপজোক করছি তোমার কন্ঠের ক্ষিপ্রতা
যেভাবে ঘনকালো মেঘধুম্রকেশ ধীরতা পায়
জলের ধারায়
যেভাবে হৃদয়পতনের মতো হঠাৎ থেমে যায়
বোশেখের বিরহী ঝড় l
এই যে প্রাণের পৃষ্ঠা খুলে বসে আছি
উন্মুক্ত দুপুরের রুষ্টমগ্ন জামা গায়ে
যেভাবে নিম্নবিত্ত হিসেবের অস্থির অঙ্কগুলো
আকাশে ঝুলিয়ে ক্রেতার দৃষ্টিসুন্দর প্রতীক্ষায় থাকে
যেভাবে বিশীর্ণ বৃক্ষদের ঝরাপাতার গান থেমে গেলে
সবুজ প্রত্যাশার অঙ্কুরে লেগে থাকে
ডানাভাঙা স্বপ্নদের সাহস l
তুমি তো হৈমন্তী সুরের হৃদম খুলে
সেখানে গচ্ছিত রেখেছো থোকা থোকা জৈষ্ঠ্যদহন
স্থিরজল ভেঙে তুলে এনেছ কম্পমান সময়
নদীর নিমগ্ন গভীরে
ঢেলে দিয়েছো ক্যামিকেলের বর্জ্যদূষণ l
এই যে উপমার অধ্য্যয়ে
তোমার শিশিরছাপগুলো অঙ্কন করতে চেয়েছি,
মহামারী আতংকিত রাত থেকে
তুলে আনতে চেয়েছি নিরাময়ের স্বস্তিশৈলী
বুকের কম্পিত ভূমিতে
উড়িয়ে দিতে চেয়েছি চন্দ্রবিজয়ের পতাকা
তুমি তো তার সব গল্পই জানো ;
তবু কেন পাঠ করছ না এইসব অবিন্যস্ত অক্ষর l