অনলাইনে ‘অ্যাডাল্ট কনটেন্টের’ ফাঁদে নারী-শিশুরা

অন্যান্য সময় টিভি
শেয়ার করুন

ঢাকা: রাজধানীর একটি বিদ্যালয়ের ছাত্রী আফরিন আক্তার (ছদ্মনাম)। করোনাকালে অনলাইনে ক্লাসের সুবাদে স্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করে দশম শ্রেণির এই ছাত্রী।

ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুললে পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই তার বন্ধু তালিকায় যুক্ত হয়। এভাবেই একদিন সে বুঝতে পারে, একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে তাকে যুক্ত করা হয়েছে। ওই গ্রুপটি ছিল মূলত ‘অ্যাডাল্ট কনটেন্ট শেয়ারিং’।

আফরিন আক্তারের ভাষ্যমতে, বিষয়টি আমাকে মানসিকভাবে প্রচণ্ড পীড়া দেয়। ফলে আমি গ্রুপ থেকে বের হয়ে আসি। কিন্তু আমাকে আবারও সেই গ্রুপে যুক্ত করা হয়। পরে এমন হয়েছে যে, অনেকেই আমাকে সরাসরি ইনবক্সে সেসব কনটেন্ট পাঠাতে শুরু করেন এবং বাজে মন্তব্য লেখেন। শেষে বাধ্য হয়ে আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেই।

একইভাবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যৌন হয়রানির শিকার হন ঢাকার বাইরের বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রী। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি সেটি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, মেসেঞ্জারে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত ব্যক্তি তারই সাবেক শিক্ষক। ছাত্রী বিষয়টি অন্যদের কাছে প্রকাশ করে দেবেন জানালে শিক্ষক অশ্লীল ছবি বানিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন। স্কুল ও কলেজের ওই শিক্ষকের ফোনালাপের অডিও ও অশালীন প্রস্তাবের স্ক্রিনশটও ফেসবুকে স্ট্যাটাসের সঙ্গে যুক্ত করেন ওই ছাত্রী।

ওই শিক্ষার্থীদের মতো অনেকেই ‘সাইবার বুলিং’ বা অনলাইনে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এটাকে যৌন নির্যাতনের নতুন দিক হিসেবে দেখছেন বিশিষ্টজনেরা।

প্রযুক্তির প্রসারের এই যুগে ইন্টারনেট ছাড়া দুনিয়া চলে না। করোনাকালে শিক্ষা কার্যক্রম, অফিস, কেনাকাটায় আরও বেশি অনলাইননির্ভর হয়ে পড়ছে মানুষ। সেই সঙ্গে বেড়েছে হয়রানিও। এ ক্ষেত্রে বয়স, শ্রেণি, পেশা, লিঙ্গ ভেদাভেদ না থাকলেও সবচেয়ে বেশি হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হচ্ছে নারী ও শিশু।
করোনাকালে দেশের শিক্ষার্থীদের শতকরা ৪৯ ভাগ অনলাইনে যৌন নির্যাতনের শিকার বলে জানাচ্ছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একটি গবেষণা প্রতিবেদন। এছাড়া অনলাইনে হয়রানি ও সহিংসতার মাত্রা বুঝতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের করা একটি গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৭৯ শতাংশের বেশি কখনো না কখনো অনলাইনে হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে নারী ও শিশুর পরিমাণ বেশি। তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আপত্তিকর ও অপমানজনক মন্তব্যের শিকার হন।

ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৩২ শতাংশ শিশু অনলাইন সহিংসতা, অনলাইনে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ডিজিটাল উৎপীড়নের শিকার হওয়ার মতো বিপদের মুখে রয়েছে।

ইউনিসেফ বাংলাদেশের সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রায় ২৫ শতাংশ শিশু ১১ বছর বয়সের আগেই ডিজিটাল জগতে প্রবেশ করতে শুরু করে। ইন্টারনেটে নিয়মিত সবচেয়ে বেশি যে দুটি কাজ করা হয় তা হচ্ছে, অনলাইন চ্যাটিং (বার্তা আদান-প্রদান) ও ভিডিও দেখা।

সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ৭০ শতাংশ ছেলে ও ৪৪ শতাংশ মেয়ে অনলাইনে অপরিচিত মানুষের বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করে এবং সেখান থেকেই শুরু হয় সমস্যা।

অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় করোনাকালে এই সাইবার বুলিংয়ের মাধ্যমে নির্যাতনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ হিসেবে ঘরবন্দি অবস্থা, সঠিক বিনোদনের অভাব এবং স্মার্টফোনের যথাযথ ব্যবহার না জেনেই ব্যবহার শুরু করাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের চাইল্ড রাইটস প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের অন্যতম সদস্য অম্বিকা রায় বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই এটা একটা নতুন ইস্যু। একটি নতুন প্ল্যাটফর্মে নতুনভাবে ভায়োলেন্সের শিকার হচ্ছে শিশু এবং নারীরা। এটা আমাদের জন্য একটা নতুন শিক্ষা। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য যেটা একেবারে নিষিদ্ধ করেছিলাম, সেটা এখন আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে (মোবাইল ফোন)। ফলে অনলাইনের প্রতি আমাদের নির্ভর করতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যেটা হয়, একটা জিনিসের সঠিক ব্যবহার না জেনেই যদি আমরা হাতে ধরিয়ে দেয় যে, বাবা এটা ব্যবহার করো, সেক্ষেত্রে এই সমস্যাটা দিনদিন বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরও বলেন, ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, আমাদের দেশে টিনএইজদের জন্য কিন্তু সেভাবে কোনো বিনোদনের ব্যবস্থা বা মাধ্যমে নেই। ঘরে বসে যদিও তারা টেলিভিশন বা বিভিন্ন কার্টুন দেখে থাকে, বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে সেগুলো শিশুদের জন্য অথবা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্মিত। এর ফলে যেসব শিশুরা অনলাইন ব্যবহার করছে, বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্মে ঢুকছে, তারা সবাই যে একদম সচেতনভাবে জেনেবুঝে ঢুকছে, তা কিন্তু না। তারা না জেনে-বুঝে অনেক কিছু অপারেট করছে, অনেক ধরনের লিংকের সাথে যুক্ত হচ্ছে, অপরিচিত মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করছে। এতে করে নিজেদের ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য আদান-প্রদান করছে। আর এখান থেকেই সাইবার বুলিং বা অনলাইনে যৌন নির্যাতন শুরু হচ্ছে এবং তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্টের (বিআইআইডি) ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী ও মেয়েশিশুদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং’ নিয়ে একটি গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, অশালীন ভিডিও, বার্তা ও ছবির মাধ্যমে অনলাইন সহিংসতার শিকার হয়েছে শহরের ৬৪ শতাংশ এবং গ্রামের ৩৩ শতাংশ। ৩৫ শতাংশ হয়রানির শিকার হয় ভুয়া অ্যাকাউন্ট বা আইডির মাধ্যমে।

একটি জরিপে এসেছে, অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত ছবি, তথ্য, ভিডিও প্রচারের শিকার হয়েছেন ৩৪ শতাংশ। এর মধ্যে নারী ১৮ শতাংশ।

এ বিষয়ে ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী ও মেয়েশিশুদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং’ গবেষণার গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক তানিয়া হক বলেন, অনলাইন অসুস্থ মানসিক প্রবৃত্তির মানুষের কাছে ‘মজা’ করার জায়গা হয়ে গেছে। নারীদের হয়রানি করার মাধ্যমে তারা বিকৃত বিনোদন পায়। আর অনেক নারী ও শিশু ডিজিটাল জ্ঞানচর্চায় কিছুটা পিছিয়ে থাকায় তারা সহজে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ঠিক বিপরীতেই অনেকে নিছক মজা করার জন্য হয়রানি করেন। কোনটা অপরাধ, কোনটা নয়, সে বিবেচনা বোধও তাদের নেই।

এই হয়রানির ফলে নারী, বিশেষ করে শিশুরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়ছে বলে মন্তব্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। এ বিষয়ে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাহিদ সুলতানা বলেন, সাইবার বুলিংয়ের মাধ্যমে যৌন হয়রানির ফলে একজন শিশু কী কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়, তা এক কথায় বলে শেষ করা সম্ভব নয়। এর প্রভাব নানাবিধ এবং দীর্ঘকাল পর্যন্ত থাকে। তবে সব থেকে বড় যে সমস্যাটি হয়, তা হলো শিশুটি মাসনিকভাবে প্রচণ্ড আহত হয়, যা পরবর্তীতে তার স্বাভাবিক জীবনযাপনের অন্তরায় হয়ে ওঠে। এমনকি ওই শিশুটি পরিচিত মানুষের সঙ্গে মিশতেও ভয় পায়। আর শিশুদের জন্য পর্নোগ্রাফি তো আরও মারাত্মক বিষয়। সাইবার বুলিংয়ের রেশ ধরে একজন মানুষ পর্নো আসক্ত হয়ে ওঠে। আর এটা তো নিজের প্রতিই নিজের যৌন নির্যাতন। এর থেকে ভয়ংকর আর কী হতে পারে! তাই এগুলো থেকে যতটা দূরে এবং সচেতন থাকা যায়, ততটাই ভালো।

বিশেষজ্ঞরদের মতে, সাইবার বুলিংয়ের মাধ্যমে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সব চেয়ে বড় ভূমিকা অভিভাবকদের। এ বিষয়ে জাতীয় কন্যাশিশু ফোরামের সেক্রেটারি নাসিমা আক্তার জলি বলেন, শিশুরা এই বিষয়গুলো অনেকসময় অভিভাবকদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভয় পায়। কেননা এগুলো শোনার পর অনেক বাবা-মায়েরাই বলে থাকেন যে, ‘এগুলো তোমার কাছেই কেন আসছে? অন্য কারও সাথে এমন হয় না। ’ আবার অনেক অভিভাবক নিজেদের মানসম্মান হারানোর ভয়ে চুপ করে থাকে। তবে বাবা-মায়েরা যদি সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করেন, বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন, তাহলেই এই হয়রানির জায়গাটা অনেক কমে যাবে।

তিনি বলেন, বাবা-মায়ের সচেতন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সেভাবে অতিরিক্ত কারিকুলাম নেই। যেটুকু আছে, সেটুকুও খুব বেশি ভালোভাবে নয়। আলাদা করে সন্তানদের এই দিকে নেওয়ার জন্য বাবা অভিভাবকের সময়, অর্থ দুটোই ব্যয় হয়, যা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। এছাড়া হঠাৎ করেই অনলাইনে পড়াশোনা বা নতুন ডিভাইসের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি বড় বিষয়। কেননা এ সম্পর্কে শিশুদের আগে থেকে কোনো সঠিক ধারণা নেই। সব চেয়ে বড় যে সমস্যা, তা হলো আইন থাকলেও এই ধরনের বিচারের ক্ষেত্রে কোনো উদাহরণ নেই। ফলে অনেকেই পার পেয়ে যায় বা বোঝে না যে, এটা করলে কী হবে। তাই এই জায়গাগুলো থেকে আমাদের সমাধানে আসতে হবে।
👉ডায়নামিক ওয়েবসাইট দিয়েই গড়ে তুলুন আপনার প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসার ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি। সেবা দেয়ার জন্য সবসময় আপনার পাশে আছে ‘ভার্সডসফট’।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অনলাইনে হয়রানি বা সহিংসতার শিকার হলে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, সে সম্পর্কে জানেন না প্রায় ৬২ শতাংশ মানুষ। কম বয়সী মেয়ে বা তরুণীরা পরিবার-সমাজে আরও হয়রানির ভয়ে ঘটনাগুলো চেপে যায়। মেয়েকে শাসন করার মধ্য দিয়ে সমাধান খোঁজে অভিভাবকরা।

পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইনে সাইবার অপরাধসংক্রান্ত অভিযোগে আইনের মাধ্যমে প্রতিকার পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে অপরাধের ধরন অনুযায়ী আইনের বিভিন্ন ধারায় একাধিক মামলা হতে পারে। ফেসবুকের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন হয়রানির শিকার যেকোনো নারী বা শিশু। এ ছাড়া ই-মেইল ও হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করেও সহযোগিতা নিতে পারবেন।

কোভিড-১৯ মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে তরুণদের মাঝে ইন্টারনেট ব্যবহার ও অনলাইন বুলিংয়ে কী ধরনের প্রভাব ফেলছে—এ বিষয়ে গ্রামীণফোন ও টেলিনর গ্রুপ এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের যৌথভাবে পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, অনলাইন বুলিংকে মারাত্মক সমস্যা হিসেবে মনে করেন দেশের ৮৫ শতাংশ তরুণ।

এ বিষয়ে এক জরিপে অংশ নেওয়া ২৯ শতাংশ তরুণ জানান, করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার আগেও তারা বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন। তবে ১৮ শতাংশ তরুণ জানান, মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে তারা আরও বেশি অনলাইন বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন। এই তরুণদের ৮৫ শতাংশের মতে, অনলাইন বুলিং একটি মারাত্মক সমস্যা।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মতে, ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত তথ্য প্রচারে সচেতনতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার অভাবে অনেকে সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন। যারা হয়রানি করছেন, তাদের ধর্মীয়, নৈতিক, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাব রয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অধীনে অভিযোগ ও পরামর্শের জন্য ১০৪ ও ৩৩৩- এই দুটি কলসেন্টার তৈরি করা হয়েছে। যেসব অভিযোগকারী আইনি ব্যবস্থা নিতে চান না, প্রযুক্তিগত সহায়তা চান—তাদের সহায়তা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *