হেজবুল্লাহ-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি পর্যালোচনা করছে লেবানন

আন্তর্জাতিক মধ্যপ্রাচ্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

ইসরায়েল ও ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটির মধ্যে সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে হেজবুল্লাহ কর্তৃক অনুমোদিত একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে লেবাননের কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করতে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের একজন কূটনীতিক বৈরুতে পৌঁছেছেন। মধ্যস্থতাকারী হেজবুল্লাহর মিত্র লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরির সাথে বৈঠক করেন আমোস হোসস্টেইন।

বেরির সহযোগী আলী হাসান খলিল সোমবার রয়টার্সকে বলেন, লেবানন সরকার ও হেজবুল্লাহ উভয়েই গত সপ্তাহে জমা দেয়া একটি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে এবং বিষয়বস্তু নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধবিরতি হলেও হেজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েল সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে। নেতানিয়াহু আরও বলেন, হেজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতির প্রতি সম্মান দেখাবে এমন কোনো প্রমাণ নেই।

খসড়া চুক্তিতে লেবানন থেকে ইসরায়েলি স্থলবাহিনীকে সরিয়ে নেয়া হবে এবং হেজবুল্লাহ বাহিনীকে ইসরায়েলি সীমান্ত থেকে দূরে ঠেলে দেয়া হবে। চুক্তির অংশ হিসেবে দক্ষিণ লেবাননের বাফার জোনে আরও লেবাননের সেনা ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচজন নিহত ও ৩১ জন আহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর হোচস্টেইন বৈরুতে যান। দুই দিনের মধ্যে বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে এটি ইসরায়েলের তৃতীয় হামলা।

হামাসের আরেক মিত্র ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী এক বছর আগে লোহিত সাগরের করিডোরে জাহাজ চলাচলে হামলা শুরু করে। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর হুথিদের হেলিকপ্টার হামলায় গ্যালাক্সি লিডার নামের একটি গাড়িবাহী জাহাজ আটক করা হয়। জাহাজটি এবং এর ২৫ জন ক্রু এখনো বিদ্রোহীদের হাতে বন্দী রয়েছেন। হুথিরা গত বছর লোহিত সাগরে ৯০টির বেশি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে দুটি জাহাজ ডুবিয়ে দেয় এবং চারজন নাবিককে হত্যা করে।- ভিওএ, এপি, রয়টার্স এবং এএফপি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *