লন্ডন ট্রাফালগার স্কয়ার হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিক্ষোভ

প্রবাসী যুক্তরাজ্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

সাঈদ চৌধুরী

বাংলাদেশে নির্বিচারে হত্যা, হামলা ও মামলার প্রতিবাদে লন্ডনে হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। আগ্রাসন ও বৈষম্য প্রতিরোধ আন্দোলনের আহবানে লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিক্ষোভ সমাবেশ গতকাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল।

আলতাব আলী পার্ক থেকে ট্রাফালগার স্কয়ার অতিক্রম করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের পর্যন্ত পৌছে প্রতিবাদী পদযাত্রা। রাজধানী লন্ডনের প্রধান প্রধান সড়কে মানুষের হাতে হাতে ছিল বাংলাদেশের পতাকা ও বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন। সময়ের আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ট্রাফালগার স্কয়ার। সমাবেশের বিস্তৃতি ছড়িয়ে পড়ে সেন্ট্রাল লন্ডনের অলিতে গলিতে।

‘স্বৈরাচারী হাসিনার পদত্যাগ চাই – বাংলার মাটিতে খুনিদের রক্ষা নাই’, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই – খুনি তোদের রক্ষা নাই’ ‘লাশের ভিতর জীবন দে – নইলে গদি ছেড়ে দে’ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ছিল সমাবেশস্থল।

বাংলাদেশীদের রাজনৈতিক দল বিএনপি-জামায়াত ছাড়াও প্রবাসী বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠন প্রতিবাদী ব্যানার ফেস্টুন ও বাংলাদেশে জাতীয় পতাকা নিয়ে পদযাত্রা ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ গ্রহণ করেছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশে তার পেটুয়া পুলিশ লীগ এবং সন্ত্রাসী দানব ছাত্রলীগ কর্তৃক শিক্ষার্থীদের হত্যা, হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। এ সপ্তাহে লন্ডনে প্রায় প্রতিদিন একই ধরনের প্রতিবাদ সমাবেশ হচ্ছে।

কান্নাজড়িত কন্ঠে বক্তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আমাদেরই কারো সন্তান অথবা কারো ভাই-বোন। তাদের ন্যায্য দাবি না মেনে সরকার অস্ত্রের ভাষায় কথা বলে। রাজাকারের তকমা দিচ্ছে।

বক্তারা ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করে বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সাথে দলীয় গুণ্ডা ও সন্ত্রাসীদের যৌথ হামলায় দুই শতাধিক মানুষ খুন হয়েছেন। গুম হয়েছেন অরো অনেকে। গ্রেফতার হয়েছেন সহস্রাধিক নেতা-কর্মী। গুরুতর আহত নির্যাতিতরা কাতরাচ্ছে বিনা চিকিৎসায়। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতার পথ ধরে বাংলাদেশের হাসপাতালেও হামলা করছে সরকারী বাহিনী।

প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সকল প্রবাসীদের অংশীদার হতে আহবান জানিয়ে বলা হয়, শিঘ্রই ফ্যাসিবাদি শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটবে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মতো ২০২৪ সালের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ সফল হবেই হবে। ফ্যাসিবাদি হাসিনা ও তার মন্ত্রীরা পালাবার পথ পাবেনা।

* সাঈদ চৌধুরী সময় সম্পাদক, কবি ও কথা সাহিত্যিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *