টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে আটক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২৪ জনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩২ শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর হয়েছে। বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফারহান সাদিক পুলিশের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে শিক্ষার্থীদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- বুয়েটের শিক্ষার্থী আফিফ আনোয়ার, বখতিয়ার নাফিস, মো. সাইখ সাদিক, ইসমাইল ইবনে আজাদ, সাব্বির আহম্মেদ, তাজিমুর রাফি, মো. সাদ আদনান, মো. শামীম আল রাজি, মো. আব্দুলাহ আল মুকিত, মো. জায়িম সরকার, হাইছাম বিন মাহবুব, মাহমুদুর হাসান, খালিদ আম্মার, মো. ফাহাদুল ইসলাম, তানভির আরাফাত, এ টি এম আবরার মুহতাদী, মো. ফয়সাল হাবিব, আনোয়ারুল সিদ্দিকী, আলী আম্মার মৌয়াজ, মো. রাশেদ রায়হান, সাকিব শাহরিয়ার, ফায়েজ উস সোয়াইব, আবদুর রাফি ও মাঈন উদ্দিন। অন্যরা হলেন, আবদুল বারি, মো. বাকি বিল্লাহ, মাহাদি হাসান, টি এম তানভির হোসেন, আশ্রাফ আলী, মো. মাহমুদ হাসান, মো. এহসানুল হক ও মো. আবদুল্লাহ মিয়া। গ্রেপ্তার আরও দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের জামিন আবেদন শিশু আদালতে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
গত রোববার বিকেলে তাদেরকে আটক করে তাহিরপুর থানার পুলিশ। সোমবার দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। তাদের তথ্যমতে, গ্রেফতার ৩৪ জনের মধ্যে ২৪ জন্য বুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছয়জন প্রথম বর্ষ, ছয়জন দ্বিতীয় বর্ষ, পাঁচজন তৃতীয় বর্ষ, পাঁচজন চতুর্থ বর্ষ ও দুজন স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়ছেন। বাকি ১০ জনের মধ্যে সাতজন বুয়েটের সদ্য সাবেক শিক্ষার্থী। অন্য তিনজনের মধ্যে দুজন এবার এসএসসি পাস করেছে আর অপরজন বুয়েটের এক শিক্ষার্থীর বাসায় কাজ করেন।
সুনামগঞ্জের পুলিশ জানায়, এই শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটানোর, জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্র এবং ধর্মীয় জিহাদ সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) এর বিভিন্ন ধারায় এসআই রাশেদুল কবির বাদী হয়ে মামলা রুজু করেন।