ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে মানহানির মামলায় দেয়া সাজা স্থগিত করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে সংসদে ফিরতে ও আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তার কোনও বাধা রইলো না।
ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অন্তর্গত পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যের বিধায়ক পূর্ণেশ মোদির আনা একটি মামলায় রাহুলকে মার্চ মাসে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এ মামলায় তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হলেও পরে তাকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তিনি সংসদীয় আসনও হারান। যেহেতু দুই বছর বা তার বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত রাজনীতিবিদরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংসদে অযোগ্য হয়ে যান।
২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মোদী উপনামযুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের অপমানজনক বলে বিবেচিত মন্তব্যের জন্য এ মামলা হয়। রায়ের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালত এবং গুজরাটের উচ্চ আদালত রাহুলের আপিল খারিজ করে দেয়। যার ফলে তাকে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে হয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি.আর. গাভাই বলেছেন, নিম্ন আদালত গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিলেও তার জন্য কোনও কারণ দেখায়নি।
শুক্রবার দুপুরে এক বিশেষ রায়ে রাহুল গান্ধীকে নির্দোষ আখ্যা না দিলেও তার বিরুদ্ধে সবরকমের সাজার আদেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তবে মোদি পদবী নিয়ে রাহুল যে মন্তব্য করেছিলেন তা উচিত হয়নি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, দায়িত্বশীল কোনো নেতার মুখে এই কথা মানায় না।