ইরানের বিপ্লবী গার্ডরা বলেছে যে তারা ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে ইসরায়েলের “গুপ্তচর সদর দফতর” আক্রমণ করেছে। রাষ্ট্রীয় মিডিয়া সোমবার জানিয়েছে, ইহুদিবাদী শাসকের সাম্প্রতিক নৃশংসতার প্রতিক্রিয়ায় তারা আরও প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ইরানের ইসলামিক রেভুলশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) হামলার কথা স্বীকার করেছে। ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় নগরী ইরবিলের কাছে এই হামলাটি হয়। ইরান একই সময় সিরিয়ার নির্দিষ্ট একটি স্থানে হামলা চালিয়েছে।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থী দল হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইরানের মিত্ররাও লেবানন, সিরিয়া, ইরাক এবং ইয়েমেন থেকে প্রতিরোধ সংগ্রামে প্রবেশ করেছে।
ইরান গত মাসে সিরিয়ায় তাদের গার্ডদের তিন সদস্যের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যার মধ্যে একজন সিনিয়র গার্ড কমান্ডারও ছিলেন, যিনি সেখানে সামরিক উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
গার্ডসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা আমাদের জাতিকে আশ্বস্ত করছি যে শহীদদের রক্তের শেষ বিন্দুর প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত গার্ডদের আক্রমণাত্মক অভিযান অব্যাহত থাকবে”।
কুর্দিস্তান সিকিউরিটি কাউন্সিল জানিয়েছে, ইরান কয়েকটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। চারজন নিহত এবং অন্য ছয়জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে প্রখ্যত কুর্দি ব্যবসায়ী পেশরাও দিজায়িসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন। ব্যবসায়ী পেশরাওয়ের সাথে মোশাদের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। তিনি ইসরাইলে তেল বিক্রি করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
আইআরজিসির উদ্ধৃতি দিয়ে ইরানের ফার্স নিউজ অ্যাজেন্সি জানিয়েছে, আইআরজিসি ইরাকের কুর্দিস্তান সদরদফতে ইসরাইলের মোশাদের গোয়েন্দা সদরদফতরে হামলা চালিয়েছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় স্থাপনাটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলাটিতে মার্কিন কোনো স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, যুক্তরাষ্ট্রের কেউ হতাহত হয়নি। মার্কিন কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি। সুত্র: রয়টার্স ও আরব নিউজ