ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে বাংলাদেশের ৪৩টি পাসপোর্ট ও ৬টি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জব্দ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় বিএসএফ।
বিবৃতিতে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় দায়িত্বরত বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে তারালি-১ সীমান্ত চৌকি এলাকার ১৪৩ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানের একটি চেষ্টা ব্যর্থ করেন। পাশাপাশি ৪৩টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও ৬টি ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটসহ বেশকিছু নথি জব্দ করা হয়। তাদের দাবি, বিএসএফের কিছু নথিপত্র ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছিল। গ্রেফতার করা হয় সন্দেহভাজন চোরাকারবারিকেও।
শনিবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের নিয়মিত টহলের সময় স্থানীয় সোনাই নদীতে একটি সন্দেহজনক সাদা বস্তা ভাসতে দেখেন বিএসএফ জওয়ানরা। কাছে গেলে দেখা যায়, বস্তাটি বাংলাদেশের দিক থেকে দড়ির সাহায্যে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত সন্দেহজনক বস্তাটি উদ্ধার করতে নোঙর ও হুক ব্যবহার করেন। উদ্ধার করে সেটি তারালি-১ চেকপোস্টে নিয়ে আসা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে ওই বস্তার ভেতর থেকে ক্রোয়েশিয়ার জন্য বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ইস্যুকৃত ৪৩টি পাসপোর্ট ও ৬টি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জব্দ বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটগুলো স্থানীয় তেঁতুলিয়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত পাসপোর্টগুলো কাদের ছিলো সে বিষয়ে কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এ ঘটনায় আন্তঃসীমান্ত চোরাচালান চক্রের জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছে বিএসএফ। তাদের ধারণা, পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটগুলো অবৈধ অভিবাসন বা মানবপাচারের জন্য ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল।