ইস্ট লন্ডনের বারাকা ইটারী রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ কম্প্রিহেনসিভ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ব্যাকডো)-এর উদ্যোগে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার প্রথমার্ধে সভাপতিত্ব করেন ব্যাকডো’র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ ফখর উদ্দিন চৌধুরী এবং শেষার্ধে সভাপতিত্ব করেন আবু তাহের চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ব্যাকডো আহ্বায়ক ব্যারিস্টার কাজী এম আশিকুজ্জামান আনোয়ার। সভার শুরুতে ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ ও সাবেক জাতিয় ক্রিকেট খেলোয়ার এনামুল হক মনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
সভায় আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন- সলিসিটর মোঃ আব্দুল আউয়াল, সলিসিটর মোহাম্মদ ইয়াওর উদ্দিন, ব্যারিস্টার ফারহানা রহমান, অধ্যক্ষ ফখর উদ্দিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার এম তাজুল ইসলাম, প্রফেসর হাবিবুর রহমান, শাহীন রশিদ, আনোয়ার জামিল বিন খায়ের, কমিউনিটি নেতা এম এ রব, আব্দুল ওয়াদুদ, প্রফেসর আশরাফুজ্জামান খান, শাহাব উদ্দিন মোল্লাহ প্রসুখ।
ব্যাকডো‘র কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও স্বপ্নদ্রষ্টা ব্যারিস্টার কাজী এম এ আনোয়ার বলেছেন, ব্যাকডো সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং উন্নত রাষ্ট্র গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ একদিন উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভায় তিনি আহ্বায়ক কমিটির কাঠামো সুসংহত করতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও মহল্লা পর্যায়ে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্র ও সমাজ সংস্কারে ইমামদের গুরুত্ব তুলে ধরে কাজী আনোয়ার বলেন, ইমামগণ কেবল মসজিদের সালাত পরিচালনায় নয়, বরং সমাজ ও রাষ্ট্রের নেতৃত্বেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার যোগ্যতা রাখেন। ইতিহাসে নবী-রাসূলগণ ও খলিফায়ে রাশিদুন সমাজ, রাষ্ট্র ও ধর্মের নেতৃত্ব একসঙ্গে দিয়েছেন। অথচ বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ ইমাম মসজিদের চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ, সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের ভূমিকা নেই এবং তারা প্রাপ্য মর্যাদা পাচ্ছেন না।
ব্যারিস্টার আনোয়ার জানান, ব্যাকডো ইমামদের নেতৃত্বে মসজিদভিত্তিক জাকাত ব্যবস্থা, ব্যাপক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে মূল্যবোধ, নেতৃত্ব ও আধ্যাত্মিকতার শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে একটি আদর্শ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছে। তিনি বাংলাদেশের সকল ধর্ম, বর্ণ এবং পেশার মানুষকে ব্যাকডোর লক্ষ্য এবং দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নে হাতে হাত ও কাধে কাধ মিলিয়ে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ চৌধুরী। তিনি ব্যাকডো‘র বর্তমান অগ্রগতি তুলে ধরে জানান, ইতিমধ্যে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও কুমিল্লাসহ প্রায় ১০টি জেলায় সংগঠনের কার্যক্রম দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন কৌশল নিয়ে বক্তব্য দেন এডভোকেট আব্দুল আউয়াল, জনাব আকিব ও ইঞ্জিনিয়ার এম তাজুল ইসলাম। ইঞ্জিনিয়ার তাজুল ইসলাম বলেন, “ব্যাকডো বাংলাদেশের একটি অনন্য সংগঠন। ব্যাকডো পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ যেমন দ্রুত উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
সভা শেষে আহ্বায়ক কমিটির পুনর্গঠন করা হয় এবং একটি শক্তিশালী উপদেষ্টা কমিটি ঘোষণা করা হয়। সমাপনী বক্তব্যে জনাব আবু তাহের চৌধুরী সংক্ষিপ্ত অভিভাষণ দেন এবং দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে সভার কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।