পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে ঘিরে দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে পৌছেছে। জনতার ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতার একপর্যায়ে মুক্ত হন ইমরান খান। আর এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটি বলেছে, পাকিস্তানি নাগরিকদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভসহ মত প্রকাশের অধিকার আছে। তবে সহিংসতায় যুক্ত হওয়া উচিত নয়। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের জনগণের নিজেদের মত প্রকাশের অধিকার আছে, তবে সহিংসতায় অংশ না নিয়ে তাদের তা করা উচিত বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল একথা জানান।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন গত সপ্তাহে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তবে তিনি বলেছেন, যে কাউকে গ্রেপ্তার করার সময় দেশের আইনকে সম্মান করা উচিত।
সোমবারের ব্রিফিংয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই মুখপাত্রকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানজুড়ে যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল সে সম্পর্কে বিশেষভাবে জিজ্ঞাসা করা হয়। জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা মনে করি, নাগরিকদের নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা উচিত, তবে কোনও সহিংসতায় অংশগ্রহণ না করে তা করা উচিত। কারণ সহিংসতা সরকারি কর্মচারী এবং সরকারি অবকাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।’
মার্কিন এই মুখপাত্রের কাছে ইমরান খানের গ্রেপ্তারের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কোনও রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র অন্য রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করে না বা প্রার্থী এবং অন্য দলের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও অবস্থানও নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো- একটি শক্তিশালী, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ পাকিস্তান ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদ সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবং যে কোনও গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে তাদের আইন অনুসারে মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা উচিত।’ ডন।