পোশাক শিল্পে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত শুরুর বিষয়ে সমকালের প্রথম পাতার খবর, ‘পোশাক খাত নিয়ে তদন্তে যুক্তরাষ্ট্র’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের মজুরি, ট্রেড ইউনিয়ন, কর্ম পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটনে ১১ই মার্চ এ বিষয়ে একটি শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এই তদন্ত রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হতে পারে বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ।
তবে একে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে দেখা যেতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন কারণ শুধু বাংলাদেশ নয় মার্কিন বাজারে পোশাক রপ্তানিকারক শীর্ষ দেশগুলোতে এই তদন্ত শুরু হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন তদন্ত যদি বস্তুনিষ্ট হয় তবে সেটি তারা করতেই পারেন। কিন্তু এতে যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য না থাকে ঢাকায় এটাই প্রত্যাশা করে। শুনানের প্রস্তুতি রয়েছে এবং ওয়াশিংটনে তা তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।
কূটনৈতিক এক সূত্রের বরাতে সমকাল জানিয়েছে গত ডিসেম্বরে মার্কিন একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের অনুরোধে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নিয়ে তদন্ত শুরু করে মার্কিন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন ইউএসআইটিসি ।
বাংলাদেশ ছাড়া এই তদন্তের আওতায় পড়েছে কম্বোডিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি দেশ। কিভাবে এই দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র পোশাকের বাজার দখল করে রেখেছে তাই তদন্তে খুঁজবে ইউএসআইটিসি। আর তদন্তে অসুস্থ প্রতিযোগিতা হচ্ছে কিনা তা খুঁজে দেখা হবে।
সংসদে নতুন বিল পাস নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘স্থায়ী রূপ নিলো দ্রুত বিচার আইন’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মেয়াদ বাড়ানোর পরিবর্তে স্থায়ী রূপ নিচ্ছে দ্রুত বিচার আইন।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রণীত এ আইনটি স্থায়ী করতে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন)’ বিল পাস হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিলটি সংসদে তুললে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। প্রথমে আইনটি করা হয়েছিল ২০০২ সালে দুই বছরের জন্য। এরপর সাত দফা এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। সবশেষ ২০১৯ সালে আইনটি সংশোধন করে বাড়ানো হয় মেয়াদ। আগামী ৯ই এপ্রিল এই আইনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
এরমধ্যে আইনটির মেয়াদ না বাড়িয়ে তা স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২৯শে জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তবে বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার যখন আইনটি করেছিল, তখন আপনারা (তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগ) বলেছিলেন এটি নিপীড়নমূলক ও কালো আইন। এই আইনের মাধ্যমে সরকার চাইলে যে কোনো কারণে নাগরিককে হয়রানি করতে পারে বলেও তিনি কটাক্ষ করেন।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইনটি কখন আনা হয়েছিল তা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। শান্তির পরিবেশ তৈরির জন্য আইনটি স্থায়ী করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে প্রাকৃতিক সম্পদের মজুদ নিয়ে মানজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘ব্রহ্মপুত্রের প্রতি কিলোমিটারে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার খনিজ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের উত্তরের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদের বালিতে মূল্যবান ছয়টি খনিজ পদার্থের সন্ধান মিলেছে।
গবেষণায় শনাক্তের পর ‘ইনস্টিটিউট অব মাইনিং, মিনারেলজি অ্যান্ড মেটালার্জি’ বলেছে প্রতি এক বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রাপ্ত খনিজ সম্পদের দাম তিন হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের বালিতে প্রচুর পরিমাণে এসব খনিজ সম্পদ আছে নিশ্চিত করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।
ইতিমধ্যে এভারলাস্ট মিনারেলস লি. নামক অস্ট্রেলিয়ার একটি কোম্পানি উত্তরের জেলা গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচরে এক্সপ্লোরেশন কাজ সম্পন্ন করেছে এবং মাইনিং লাইসেন্সপ্রাপ্তি ও কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে।
বালির নিচে লুকিয়ে থাকা এসব খনিজ পদার্থ হচ্ছে- ইলমেনাইট, রুটাইল, জিরকন, ম্যাগনেটাইট, গারনেট ও কোয়ার্টজ। এরমধ্যে জিকরন সিরামিক, টাইলস, রিফ্যাক্টরিজ ও ছাঁচ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়। রঙ, প্লাস্টিক, ওয়েলডিং রড, কালি, খাবার, কসমেটিকস, ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় রুটাইল।
শিরি কাগজ উৎপাদনে ব্যবহার হয় গারনেট। চুম্বক, ইস্পাত উৎপাদনসহ বিভিন্ন কাজে লাগে ম্যাগনেটাইট। টাইটেনিয়াম মেটাল, ওয়েল্ডিং রড ও রঙ উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হয় ইলমেনাইট। আর কাঁচ শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল কোয়ার্টজ।
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান আগামী সপ্তাহে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান করা হতে পারে আগামী সপ্তাহে। সম্ভাব্য তারিখ ১০ই মার্চ বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।
এর মধ্যে দরপত্র আহ্বানের কাজ চূড়ান্ত করে ফেলেছে পেট্রোবাংলা ও জ্বালানি বিভাগ।
এতে দেশের সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বিদেশী কোম্পানিগুলোর পুনরায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গভীর বঙ্গোপসাগরে নিজ সীমানায় অনুসন্ধান চালিয়ে এরই মধ্যে বড় সাফল্যের দেখা পেয়েছে ভারত ও মিয়ানমার। জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও মনোযোগ না পাওয়ায় বাংলাদেশে সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম তেমন একটা এগোয়নি।
নতুন এ দরপত্রের মধ্য দিয়ে সে অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে তারা মনে করেন। জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সাগরের ব্লক বরাদ্দসহ দরপত্র আহ্বানে নানা বিষয় নিয়ে একটি রোডম্যাপ তৈরি হয়েছে। এ রোডম্যাপের আওতায় বিদেশী কোম্পানিগুলোর দরপত্রে অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া, এ নিয়ে দেশী-বিদেশী সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন, রোডশোসহ নানা ধরনের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনায় এক সংবাদ সম্মেলনকে ঘিরে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘সরকারি সংস্থাগুলোর দায় বেশি।’ প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অগ্নি দুর্ঘটনার পর তদারকির দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থা পারস্পরিক দোষারোপের মাধ্যমে নিজেদের দায়িত্ব থেকে ‘দায়মুক্তি’ নেওয়ার চেষ্টা করছে।
হাতে গোনা দু-একটি ক্ষেত্রে মামলা হলেও সাজার কোনো নজির নেই। এই চক্র প্রতিটি অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের অবহেলা, অব্যবস্থাপনা ও প্রস্তুতিহীনতার নানা দিক সামনে আসছে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ভবন বিপজ্জনকতায় আচ্ছন্ন নগরী: প্রেক্ষিতে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে নগর-পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, আইনজীবী ও পরিবেশবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এমন অভিমত তুলে ধরেন। তাদের মতে, অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির জন্য সরকারি সংস্থাগুলোর দায় বেশি।
সরকারের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর আঁতাতে অনিয়ম চলছে, তা বন্ধ না হলে অভিযানের নামে নতুন চাঁদাবাজির ক্ষেত্র তৈরি হবে। এই চক্র চলতে থাকলে পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক গুদাম সরবে না। নতুন ঢাকার একেকটি ভবন হবে আগুনের গোলা।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে, সারা দেশে গত নয় বছরে এক লাখ ৯০ হাজার ১৬৭টি অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে এক হাজার ৫১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন হাজার ৬০৬ জন। ঢাকাসহ সারা দেশে অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ হচ্ছে অননুমোদিত অবৈধ ভবন, অবৈধ ভূমি ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর তদারকির অভাব।
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাব্য উৎস নিয়ে যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘সূত্রপাত হতে পারে ইলেকট্রিক কেটলি থেকে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনের সূত্রপাত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ঘটেনি।
বিস্ফোরক পরিদপ্তরের একটি দল পরিদর্শন করতে এসেছে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কোনো আলামত পায়নি। ইলেকট্রিক কেটলি বা অন্য কিছু থেকে আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্ফোরক পরিদর্শক ইলেকট্রিক কেটলির ধ্বংসাবশেষ ও পোড়া তার পেয়েছে।
আদালতের মাধ্যমে উদ্ধার আলামত বিস্ফোরক পরিদপ্তরে পাঠানো হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে। সাধারণত গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ হলে সিলিন্ডারের ধ্বংসাবশেষ চতুর্দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত। অন্যরকম একটা পরিবেশ থাকত। কিন্তু এ রকম কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি।
ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে পুলিশ ১১টি গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত অবস্থায় সংগ্রহ করেছে। বলা হচ্ছে সবার প্রথমে আগুন লাগে ভবনটির নিচতলার চুমুক ‘চায়ের দোকানে’। সেখান থেকে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তবে তদন্তে কী পাওয়া গেছে-সে বিষয়ে কমিটির কেউ কথা বলতে রাজি হননি। তারা জানান, তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
পরিবহনে চাঁদাবাজি নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Bus operators pay Tk 1,059cr a year in bribes’ অর্থাৎ ‘বাস অপারেটররা বছরে ১,০৫৯ কোটি টাকা ঘুষ দেয়’।
প্রতিবেদনে মূলত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের গবেষণা তথ্য তুলে ধরা হয়।
গবেষণা অনুযায়ী, প্রতি বছর বাসগুলো অন্তত এক হাজার ৫৯ কোটি টাকা অবৈধ টোল ও ঘুষ দেয়। প্রকৃত চাঁদাবাজির পরিমাণ আরও কয়েকগুণ বেশি হতে পারে বলে সংস্থাটির ধারণা।
এই ঘুষ ও চাঁদাবাজির অর্থের ভাগ পান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একটি অংশ, পুলিশ কর্মকর্তা, পরিবহন সমিতি, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কর্মচারী এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ৯২ শতাংশ বাস অপারেটরের পরিচালনা পর্ষদে সরাসরি জড়িত ছিল। এই ব্যক্তিদের মধ্যে ৮০ শতাংশই আওয়ামী লীগের এবং তারা প্রায়শই নিয়ম নীতি প্রণয়নে প্রভাব বিস্তার করে। এভাবে তারা মূলত নিজেদের এবং বাস অপারেটরদের জন্য সুবিধা নিশ্চিত করে বলে গবেষণায় বলা হয়।
গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘুষ ও অবৈধ টোল হিসেবে বেসরকারিভাবে পরিচালিত এক হাজার ৫৯ কোটি টাকার মধ্যে নয়শ কোটি ৬০ টাকা বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সেবা বাবদ গেছে। ২৪ দশমিক ৯৭ কোটি টাকা গেছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে, ৩৩ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা গেছে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কর্মী ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে। ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশের কাছে ৮৭ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতির কাছে ১২ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা গেছে।
ফিলিস্তিনের গাজায় মানবেতর পরিস্থিতি নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘গাজায় অনাহারে মারা যাচ্ছে শিশুরা’। প্রতিবেদনে সেখানকার ভয়াবহতার নানা চিত্র ফুটে ওঠে। যার শুরুটা হয়েছে ইয়াযান আল-কাফারনেহর নামে এক মায়ের গল্প দিয়েছে।
তিনি তখনও কল্পনাও করেননি তার কোলে ক্ষুধায় কাতর সন্তানের মৃত্যুর মতো হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটবে। কিন্তু সেই ‘অভাবনীয়’ বিষয়টিই ঘটেছে। অনাহারে চোখের সামনে সন্তানের মৃত্যুতে হতবাক এই মায়ের চোখের জল বাঁধ মানছিল না। দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের এক হাসপাতালের মেঝেতেই বসে শোক করছিলেন তিনি।
ইয়াযান আল-কাফারনেহ একা নন, দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়া গাজা উপত্যকায় আরো কিছু শিশু অহানারে মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস। আরও অনেকে মৃত্যুর প্রহর গুনছে বলেই সাহায্য সংস্থাগুলোর ধারণা।
১০ বছর বয়সী ইয়াযানের ওজন খুব বেশি কমে গিয়েছিল। তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য দরকার ছিল পুষ্টিকর খাবারের। কিন্তু গত বছরের ৭ই অক্টোবর ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলা শুরু হলে প্রাণ বাঁচাতে উত্তর গাজা ছেড়ে দক্ষিণে যাওয়া শরণার্থী পরিবারটির তা জোগান দেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। মারা যাওয়ার আগের ছবি ও ভিডিওতে হাসপাতালের বিছানায় কঙ্কালসার ইয়াযানকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। অথচ যুদ্ধ শুরুর আগে শিশুটি বেশ স্বাস্থ্যবান ছিল।
ছাত্রকে শিক্ষকের গুলি করার ঘটনা নিয়ে দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘ব্যাগে পিস্তল-গুলি-ছুরি নিয়ে ঘুরতেন সেই শিক্ষক’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক রায়হান শরিফের কাছে থাকা আরেকটি বিদেশি পিস্তলসহ বেশ কিছু গুলি-অস্ত্র উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ।
গত দুদিনে সব মিলিয়ে তার কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, ৮১টি গুলি ও ১২টি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, অস্ত্রের প্রতি রায়হান শরিফের বিশেষ আকর্ষণ ছিল। তিনি চামড়ার তৈরি একটি ব্যাগে সবসময় অস্ত্রগুলো বহন করতেন।
সদর থানা পুলিশ জানিয়েছে, পিস্তলের গুলিতে শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় রায়হানের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে আহত শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালের বাবা প্রথম মামলাটি করেছেন।
সোমবার বিকেলে মেডিকেল কলেজে মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে প্রভাষক রায়হান শরিফের পিস্তলের গুলিতে আহত হন এমবিবিএস অষ্টম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমাল। তার পায়ে গুলি লাগে।
তারপরই শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। খবর পেয়ে পুলিশ শিক্ষক রায়হানকে হেফাজতে নেয়; তার পিস্তলটিও জব্দ করা হয়। সন্ধ্যার পর আহত তমালের পায়ে অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়। – বিবিসি বাংলা