মঙ্গলবার লাহোর হাইকোর্ট পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে নিহত পিটিআই কর্মী জিল্লে শাহের মৃত্যুর বিষয়ে তথ্য ও প্রমাণ গোপন করার সাথে যুক্ত একটি মামলায় গ্রেফতার-পূর্ব জামিন নিশ্চিত করেছে।
পিটিআই কর্মী আলি বিলাল, যিনি জিল্লে শাহ নামেও পরিচিত, গত ৮ মার্চ পার্টির সমাবেশের সময় নিহত হন। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে তার শরীরে ২৬টি আঘাতের চিহ্ন সনাক্ত করা হয়েছিল। দলটি ঘোষণা করেছিল যে, তাকে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। পিটিআই প্রধানও এ ঘটনায় তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, অভিযোগ করেছেন যে, ‘নিরস্ত্র’ কর্মীকে পুলিশ হেফাজতে হত্যা করা হয়েছে।
পরে তত্ত্বাবধায়ক পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকভি এবং পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিদর্শক ডক্টর উসমান আনোয়ার ১১ মার্চ একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন যে, তদন্ত কমিটির ফলাফলে দেখা গেছে পিটিআই কর্মীর মৃত্যু একটি সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটেছে। যদিও কর্মকর্তারা গাড়ির ভিডিও এবং পিটিআই কর্মীকে সার্ভিসেস হাসপাতালে নিয়ে আসা দুজন লোকের ভিডিও উপস্থাপন করেছেন, তবে তারা তাদের দাবি প্রমাণ করার জন্য গাড়ির দ্বারা রাস্তার উপর ধাক্কা লেগেছে এমন কোনও ফুটেজ প্রকাশ করতে পারেনি।
১৫ মার্চ, পাঞ্জাব সেফ সিটি অথরিটি (পিএসসিএ) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরান খান বলেছিলেন যে, পুলিশ কর্তৃপক্ষ এবং লাহোর সেনানিবাস উভয়ের প্রায় ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা পরীক্ষা করেছে মিয়া মির ওভারহেড ব্রিজের আশেপাশে যেখান থেকে গত ৮ মার্চ জিল্লে শাহকে কালো গাড়িতে করে তুলে নেয়া হয়েছিল। কামরান খান ডনকে বলেছিলেন, ‘প্রায় ৫০টি সিসিটিভি ফুটেজের মধ্যে, আলী বিলালের সড়ক দুর্ঘটনার সাথে সম্পর্কিত কোন ভিডিও পাওয়া যায়নি।’