গাজার আল-আহলি-আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত পাঁচশো মানুষ নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখপাত্র জানিয়েছেন। হাসপাতালের একজন চিকিৎসক একে ‘গণহত্যা’ বলে বর্ণনা করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সেটি খ্রিষ্টান মিশনারিদের পরিচালিত একটি হাসপাতাল, যার সঙ্গে হামাসের কোনও সম্পর্ক নেই।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আল-আহলি আরব হাসপাতাল থেকে যে ভিডিও পাওয়া গেছে তাতে দেখা গেছে চারিদিকে বিশৃঙ্খলা। রক্তাক্ত হতাহতদের স্ট্রেচারে করে অন্ধকারের মধ্যেই বার করে আনা হচ্ছে। হাসপাতালের বাইরে ধ্বংসস্তূপ, রাস্তায় পড়ে রয়েছে মৃতদেহ আর বিধ্বস্ত যান বাহন। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি রকেট আছড়ে পড়ছে আর তারপরেই লাগাতার বিস্ফোরণ ঘটছে।
“আমরা হাসপাতালে অপারেশন করছিলাম, হঠাৎই একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয় আর অপারেশন রুমের ছাদটাই পুরো ভেঙ্গে পড়ে। এটা একটি গণহত্যা,” বলছেন ডঃ ঘাসান আবু-সিত্তাহ। তিনি মেডেসিনস সানস ফ্রন্টিয়ারস-এর প্লাস্টিক সার্জন। যুদ্ধে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করতে এসেছেন তিনি।
আহলি আল-আরব হাসপাতালটি অ্যাংলিকান চার্চের অর্থায়নে চলে। চার্চ দাবী করেছে তাদের হাসপাতালটি গাজার কোনও রাজনৈতিক গোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। ওই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গত সপ্তাহের শেষ দিক থেকে প্রায় ছয় হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন।
ব্রিটিশ-ফিলিস্তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জাহের কুহাইল বিবিসিকে বলেন, তিনি যা দেখেছেন তা ‘কল্পনারও বাইরে’। তার কথায়, “আমি একটি এফ-১৬ বা এফ-৩৫ (যুদ্ধ বিমান) থেকে দুটি রকেট আসতে দেখেছি। ওই দুটো বিমান থেকে মানুষের ওপরে গোলাবর্ষণ করেছে, তাদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। “বিস্ফোরণের ফলে আগুন লেগে অনেক লোক মারা গেছে। প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকাজের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব ছিল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৫০০ জন নিহত হয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আরো শতাধিক মানুষ আটকা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।