গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে দোহাতে আলোচনায় নতুন প্রস্তাব

মধ্যপ্রাচ্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

কাতারের রাজধানী দোহাতে শুক্রবার গাজার যুদ্ধবিরতি মধ্যস্থতাকারীরা বলেছেন, তারা ইসরায়েল এবং হামাসকে একটা পরিবর্ধিত প্রস্তাব দিয়েছেন যাতে আগেকার আলোচনার ঐকমত্যের জায়গাগুলো বহাল রাখা হয়েছে এবং বাকি মতভেদের বিষয়গুলোর সুরাহা পেশ করা হয়েছে। যাতে পরিকল্পনাটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায়।

গাজায় যে কোনও উপায়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদনই তাদের লক্ষ্য কারণ ফিলিস্তিনি ছিটমহলে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার পৃথকভাবে জানিয়েছেন, দশ মাস ধরে যুদ্ধের পর সেখানে মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা সকল জিম্মি মুক্তি এবং অন্য মানবিক বিষয়গুলো নিয়ে আবার আগামী সপ্তাহে বালোচনায় বসবেন। যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা যিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রয়টার্সকে দোহার আলোচনা সম্পর্কে সংক্ষেপে বলেন যে, বৃহস্পতিবারের আলোচনা ছিল “গঠনমূলক।”

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কারবি হোয়াইট হাউসে সংবাদদাতাদের বলেন, “এটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বাকি বাধাগুলি অতিক্রম করা যেতে পারে এবং এই প্রক্রিয়াকে শেষের দিকে নিয়ে আসতে হবে।”

এদিকে, গাজার উপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়াতে একটি বাড়ির উপর বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে এবং এই হামলায় কমপক্ষে ছয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলি সৈন্যরা এর আগে গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফা ও খান ইউনিসে আঘাত হেনেছে। টেলিগ্রামে বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি জারি করে হামাসের পলিটব্যুরো সদস্য হোসাম বদরান বলেছেন, যুদ্ধবিরতি বিষয়ে অগ্রগতির অন্তরায় হল ইসরায়েলের লাগাতার অভিযান। হামাস কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবারের বৈঠকে যোগ দেননি।

যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের দোহাভিত্তিক সমঝোতাকারী দলের সঙ্গে উক্ত বৈঠকের পর আলোচনা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলে রয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান ডেভিড বার্নিয়া, স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান রনেন বার এবং সামরিক বাহিনীর হোস্টেজ প্রধান নিটজান অ্যালন।

হোয়াইট হাউস পাঠিয়েছে সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস ও মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দূত ব্রেট ম্যাকগার্ককে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি এবং মিশরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেলও অংশগ্রহণ করেন। – রয়টার্স, ভিওএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *