গাজায় খাবার বিতরণ শুরু করেছে জর্ডান ও আরব আমিরাত

সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

ইসরায়েল দশ ঘণ্টার জন্য সামরিক অভিযান স্থগিত ঘোষণার পর জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজায় বিমান থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে। এই ঘোষণা এমন এক সময় আসলো যখন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা গাজায় অনাহার ও অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছিল।

রোববার জর্ডানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ২৫ টন খাবার বিমান থেকে মাটিতে ফেলেছে জর্ডান ও আরব আমিরাত। এতে অংশ নিয়েছে জর্ডানের সি-১৩০ মডেলের দুটি এবং আরব আমিরাতের একটি বিমান। গাজার একাধিক স্থানে এসব খাবার ফেলা হচ্ছে।

জর্ডানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে আরো বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আকাশ থেকে জর্ডান কর্তৃক ১২৭ বার সেখানে খাবার ফেলা হয়েছে। তবে ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে যে, বিমান থেকে যে ত্রাণ ফেলা গাজার চলমান সংকট মোকাবিলার জন্য একেবারেই পর্যাপ্ত নয়।

বিবিসির সংবাদদাতা জো ইনউড লিখেছেন, গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষের জন্য মাত্র একবেলার খাবার নিশ্চিত করতে হলেও অন্তত ১৬০টি বিমানের প্রয়োজন হবে।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৩৩ জন অপুষ্টিতে মারা গেছেন। গাজায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ও মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেই রোববার থেকে ইসরায়েল ১০ ঘণ্টার ‘কৌশলগত বিরতির’ ঘোষণা দেয়।

প্রতিদিন স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আল-মাওয়াসি, দেইর আল-বালাহ ও গাজা সিটির নির্দিষ্ট এলাকায় কার্যকর থাকবে। এমন পদক্ষেপের উদ্দেশ্যই ছিল মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা। তবে বিরতির ঘোষণার পরপরই রোববার ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *