বিলাতে এক সময় ফিতরার পরিমান ২ পাউণ্ড ছিল। তখন এ নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলেছি। আমরা যারা ইউরোপ বা আমেরিকায় বাস করি তারা তো ফকির নয় যে তারা ফকিরের মত ফিতরা আদায় করবেন।
আমার মতে, তাদের উচিত আমীরের মত ফিতরা আদায় করা। ফিদইয়া এবং ফিতরা গরীবের হক্ব। যাঁদের সঙ্গতি তাদের উচিত গরীবের হক্ব ফকিরের মত আদায় না করে ধনীর জন্য যোগ্য পরিমানে আদায় করা।
মহানবী স. কখনো আটা বা আটার মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করেননি। তখন আটা ছিলই না। হাদিস থেকে আমরা জানি, মহানবী স. বার্লি, পনির, খেজুর ইত্যাদি দিয়ে ফিতরা আদায় করেছেন।
আমি বলছি না, আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে আদায় হবে না। আমি বলছি, আমরা যারা বিলাত বা আমেরিকায় বাস করি তাদের উচিত তাদের সাধ্যমত ফিতরা আদায় করা। কারণ আমরা আর্থিক দিক দিয়ে তুলনামূলক ভাবে ভাল অবস্থানে আছি।
সুতরাং আমাদের জন্য গরীবের মত ফিতরা আদায় করা শোভা পায় না। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিয়েছেন, তাই আমাদের উচিত আর্থিক অবস্থা অনুপাতে গরীবের হক ফিতরা বা ফিদইয়া আদায়ের চেষ্টা করা।
কেউ কেউ প্রশ্ন রাখছেন, বিলাতে ফিতরা বা ফিদইয়া কত পাউণ্ড হওয়া উচিত। আমার মতে এটা নির্ভর করে প্রত্যেকের সামর্থের উপর। আমার নিজের ব্যাপারে আমি বলতে পারি। মসজিদে যখন ৩ পাউণ্ড ফিতরা নির্ধারণ করত তখন আমি ফিতরা দিয়েছি জনপ্রতি ১০ পাউণ্ড করে। পরে দ্রব্যমূল্যের সাথে মিল রেখে জনপ্রতি ফিতরা ২০ পাউণ্ড করে আদায় করেছি। এবার ইনশাআল্লাহ নিজেদের ফিতরা ২৫ পাউণ্ড করে আদায় করব।
* ফরীদ আহমদ রেজা কবি-কলামিস্ট, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক