হামাসের অন্যতম শীর্ষ সামরিক নেতা মারওয়ান ইসা ইসরায়েলি বিমান হামলায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা জ্যাক সুলিভান। গত সাতই অক্টোবর থেকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলি হামলায় হামাসের যে সব নেতা মারা গেছেন তার মধ্যে মি. ইসা সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ। তবে, আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি ফিলিস্তিনি পক্ষ।
ইসরায়েলি মিডিয়ার দাবি, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের নিচে একটি টানেল কমপ্লেক্স লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হয় গত সপ্তাহে। ঐ হামলায় নিহত হন মারওয়ান ইসা। হামাসের সামরিক শাখা ইজেদিন আল-কাসাম ব্রিগেডের ডেপুটি কমান্ডার মি. ইসা ছিলেন ইসরায়েলের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড। প্রথম ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদার সময় তিনি পাঁচ বছর ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ছিলেন।
৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক ইসরায়েলি হামলায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছে হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হামলায় বেসামরিক লোকের মৃত্যুর ঘটনায় সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠেছে। যা আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েলকে তাদের মিত্রদের কাছ থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র ডেমোক্র্যাটরা মি. নেতানিয়াহুকে ফোন দিয়ে এই যুদ্ধ নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার, সিনেটের শীর্ষ ডেমোক্র্যাট চাক শুমার ইসরায়েলে নতুন নির্বাচনের আহবান জানিয়ে বলেছেন যে, মি. নেতানিয়াহু দেশের প্রয়োজনের চেয়ে নিজে রাজনৈতিকভাবে বেঁচে থাকার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
শুক্রবার বাইডেন তার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি মি. শুমারের এমন বক্তব্য সম্পর্কে আগে থেকেই জানতেন। সে সময় বাইডেন বলেছেন, এটি শুধু শুমারের একার বক্তব্য নয় অনেক আমেরিকানেরই একই ধরনের উদ্বেগ রয়েছে। – বিবিসি