যদি তুমি বাংলাদেশ না বোঝো
আমরাও বুঝবো না তোমাকে
আমরাও বুঝবো না তোমার আসক্তির বয়ান!
তোমাকে বুঝতেই হবে এমন কোনো দায়
অন্তত আমার এবং আমাদের নেই।
আগ্রাসী জিহবায় চেটেপুটে খেতে চাও দেশ!
পেতে চাও সেই অতীত, যেখানে শাসক গুম খুনের জমিদার!
যেখানে লুটেরাদের জমজমাট উৎসব!
না, সামলাও নিজেকে, সংযতচিত্ত হও, গ্রহণ করো সত্যের সুষম নিদান
বুঝতে পারোনি এখন রাজনীতির নতুন বসন্ত!
ওইতো মানবিক হাওয়ায় দুলছে বাংলাদেশ!
তুমিও দুলে ওঠো নতুন পল্লবের রেষে
নতুন বাতাসে জুড়াও প্রাণ শরীর
লেখো রাজনীতির নতুন গান
লেখো ক্ষমতার নতুন কবিতা
সেই বাঁশিটিই বাজাও, যা শুনলেই মনে হবে এইতো আমাদের আত্মার ধ্বনি!
নাগরিক অধিকার কি খুব বেশি কিছু চাওয়া!
ইনসাফের কথা বলা কি ঘোরতর অন্যায়!
ন্যাহ্যতার পালে হাওয়া দেবার আকাঙ্খা কি অপরাধ!
না, কেনো এসব নিয়ে তর্ক তোলো!
এসব কি মানুষের সহজাত অধিকার নয়!
বাজিকরদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতেই হবে !
আমরা চাই সহসা বাতিল হোক অসৎদের হুংকার!
আমি কি বলিনি, এ মাটি কোনো কাপুরুষের জন্যে উৎসর্গিত নয়।
এদেশের আলো হাওয়া কোনো গাদ্দারকে সুখী করবে না কোনোদিন।
যতবার তুমি উদ্যত করবে বিষের ফণা
ততবারই পরাস্ত হবে তোমার পথ
ততবার মুখোমুখি হতে হবে আত্মহত্যার!
বুঝে নিও খুব করে, এদেশ কোনো বিশ্বাস ঘাতকের খেলার মাঠ নয়
আমার দেশ নিয়ে খেলার তুমি কে!
জেনে রেখো, শাহ জালাল শাহ মাখদুম
খান জাহানের বীরত্বে সজ্জিত এদেশ
সেই তিতুর নামটি তো তোমার দিব্যি মুখস্থ
বাঁশের কেল্লা থেকে যেদিন বেরিয়ে পড়েছিলো স্বাধীনতা, সেদিনই লেখা হলো মুক্তির সংগ্রাম।
বখতিয়ারের নামটি অন্তত রোজ আবৃত্তি করো একবার
মুখস্থ রেখো তার ঘোড়ার ক্ষুরের আওয়াজ
সতেরো সওয়ারীর নিঃশ্বাসে কেমন ছোট হয়ে গেলো প্রতাপান্বিত সেন রাজার পৃথিবী
সেই খিড়কি দূয়ারের কথা ভুলো না একদম
সবসময় পালিয়ে যাওয়ার মওকা না-ও মিলতে পারে!
হিসাব খুব সহজ, পথও সোজা,
দ্বিধাহীন আমাদের উচ্চারণ-
যদি তুমি না বোঝো বাংলাদেশ
আমরাও বুঝবো না তোমাকে।
