আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ‘HOOT ME, I BARE MY CHEST A counter forensic investigation of the killing of Abu Sayed’ ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, খুনের প্রমাণ।
এই ফরেনসিক বিশ্লেষনে দুটো বিষয় স্পস্ট হয়েছে। এক: পুলিশ আবু সাঈদকে টার্গেট করে প্রাণঘাতী অস্র দিয়ে খুন করেছে। দুই: আবু সাঈদকে হাসপাতালে নেয়ার ক্ষেত্রে কোন দেরী করা হয়নি। তাকে এমনভাবে গুলি করা হয়েছিল যে বাচার কোন সম্ভাবনা ছিল না।
ড. আসিফ নজরুল আরো লিখেছেন, এটা দেখে আমার আরেকটা জিনিষ মনে হয়েছে। সেটি হচ্ছে আবু সাঈদ জেনেশুনে খুন হওয়ার ঝুঁকি নিয়েই প্রতিবাদ করেছে। আবু সাঈদ জুলাই গণঅভ্যূত্থানের বীরশ্রেষ্ঠ!
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের শুরুতে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যার ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত করে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘বুক পেতেছি, গুলি কর’। ১৬ জুলাই আবু সাঈদকে হত্যা করা হয়।
পুলিশের গুলির সামনে আবু সাঈদ বুক চিতিয়ে দাঁড়ানোর সেই দৃশ্য আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে এবং গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।
‘বুক পেতেছি, গুলি কর‘ চলচ্চিত্রে আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ড খুবই সুক্ষ ও নিপুণভাবে অনুসন্ধানী বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে শেখ হাসিনার মিথ্যাচারেরও জবাব দেয়া হয়েছে। হাসিনা তখন বলেছিলেন, আবু সাঈদ বিক্ষোভকারীদের ছোড়া পাথর ও আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাতে নিহত হন।
খ্যাতিমান মানবাধিকারকর্মী ও আলোকচিত্রী, দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলমের সঞ্চালনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার পান্থপথে দৃকপাঠ ভবনে চলচ্চিত্র ও প্রদর্শনীর গ্লোবাল প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দৃক পিকচার লাইব্রেরি এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ফরেনসিক আর্কিটেকচার পাল্টা ফরেনসিক তদন্তের পর আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন ভাবে ঝড় উঠেছে।
অনুষ্ঠানে ঘটনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ফরেনসিক আর্কিটেকচারের গবেষক জুমানাহ বাওয়াজির, প্রযুক্তিগবেষক নিকোলাস অ্যালিস্টার মাস্টারটন, নেত্র নিউজের এডিটর-ইন-চিফ তাসনিম খলিল, দৃকের আলোকচিত্র সাংবাদিক ও নেটওয়ার্ক সমন্বয়ক পারভেজ আহমেদ রনি, কালের কণ্ঠের রংপুরের আলোকচিত্রী গোলজার রহমান আদর, এনটিভি রংপুরের স্টাফ ক্যামেরাম্যান আসাদুজ্জামান আরমান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও সংবাদদাতা তাওহিদুল হক সিয়াম, এ এস এম রেজাউর রহমান প্রমুখ। – সাঈদ চৌধুরী