আজ শুক্রবার সকাল থেকে গাজায় ব্যাপক বোমা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইতোমধ্যে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত ও কয়েকশত আহত হয়েছেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, অধিকৃত পশ্চিমতীরে অন্তত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত সাত দিন যুদ্ধবিরতির সময় হামাসের হাতে বন্দী ১১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়। একই সাথে ইসরায়েলে বন্দী ২৪০ জন ফিলিস্তিনিকেও মুক্তি দেয়া হয়। কাতারের রাজধানী দোহায় যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখার জন্য মধ্যস্থতাকারীরা চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার মধ্যেই ইসরায়েল আবার বোমা হামলা শুরু করেছে।
বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পিটার লার্নার বলেন, সংঘাতের শুরু থেকেই আইডিএফ এর উদ্দেশ্য একই রয়েছে- আর তা হচ্ছে সব জিম্মিকে মুক্ত করা এবং ‘হামাসকে ধ্বংস’ করা।
হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় তারাও দেশটির আশকেলন, সেডরোট ও বিয়ারশেবা শহরে আক্রমণ করেছে।
ইসরাইল সরকারের মুখপাত্র আইলন লেভি সাংবাদিকদের বলেছেন, হামাসের হাতে এখনো ১৩৭ জন বন্দী রয়েছে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় ১৪,৮০০ মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে অন্তত ছয় হাজার শিশু।
ইউনিসেফের বৈশ্বিক মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেছেন, ইসরাইলি বিমান হামলা পুনরায় শুরু হওয়ায় শিশুরা ভয় ও ট্রমায় ফিরে এসেছে।
‘গাজার নতুন মানচিত্র’
এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজার নতুন মানচিত্র তৈরি করেছে। যেখানে গাজাকে কয়েকশ এলাকায় ভাগ করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকাকে নম্বর দিয়ে চিহ্নিত মানচিত্রটি অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, “যুদ্ধের পরিবর্তী ধাপ” প্রস্তুতে সহায়তা করতে এই মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। আইডিএফ বলছে, এই মানচিত্রটি শনাক্ত যোগ্য এলাকায় ভাগ করা হয়েছে যাতে প্রয়োজন হলে বাসিন্দারা নির্দিষ্ট এলাকা থেকে তাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পারে। সূত্র : আলজাজিরা ও বিবিসি