কারামুক্ত হয়েই পরীক্ষার হলে খাদিজা

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েই পরীক্ষা দিতে গেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস পর আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ভবনে পরীক্ষা দিচ্ছেন খাদিজা। দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হয়েছে সকাল ১০টায়। তবে কারামুক্ত হয়ে পরীক্ষার হলে তিনি পৌছেন বেলা সাড়ে ১১টায়।

গত ১৬ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে খাদিজাকে জামিনের আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ।

খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আলাদা দুটি মামলা হয়। একটি মামলা হয় রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অন্যটি নিউমার্কেট থানায়। দুটি মামলার বাদীই পুলিশ।

গত বছরের মে মাসে দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত বছরের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানার পুলিশ। তখন থেকে কারাগারে ছিলেন। আর দেলোয়ার বিদেশে পলাতক রয়েছেন।

পরীক্ষার আগে খাদিজা কেন কারামুক্ত হলেন না জানানোর নির্দেশ

সর্বোচ্চ আদালতের জামিন আদেশের পরও কেন কারাগার থেকে মুক্ত হতে পারেননি জবি ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরা, রাষ্ট্রপক্ষকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (২০ নভেম্বর) খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চে বিষয়টি নজরে আনলে আদালত এ নির্দেশ দেন।

গত বৃহস্পতিবার জামিন আদেশ পান খাদিজা। রোববার তা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়।  মুক্তির জন্য রোববার সারা দিন তার পরিবারের সদস্যরা কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের বাইরে অপেক্ষা করেন। কিন্তু রাত ১১টা পর্যন্ত খাদিজা মুক্তি না পাওয়ায় তাকে ছাড়াই তারা ফিরে যান। সোমবার সকাল ৯টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান খাদিজা।

খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে খাদিজাকে মুক্তি দেওয়া উচিত ছিল। তাকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। এটা সুস্পষ্ট আদালত অবমাননা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *