আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে নির্বাচিত পার্লামেন্টারিয়ান, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজায় অংশ নেন যুদ্ধাপরাধের মামলায় বহুল আলোচিত সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) পিরোজপুরে আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন ভবনে তাকে দেখা গেছে। এ সময় তিনি মিডিয়াকে বলেন, আমার নাম সুখরঞ্জন বালি, আমি সাঈদী সাহেবের জানাজায় এসেছি। তিনি ভাল বলেই এসেছি। আমি তার সাক্ষী ছিলাম। তার পক্ষে সাক্ষী দিতে ঢাকায় গেছি। সেখান থেকে অপহরণ হই। ঢাকার আশে পাশেই ছিলাম তের দিন কম তিন মাস। এরপর চক্ষু বেঁধে নিয়ে যায় সীমান্তের ওপারে। সেখানে আমাকে অনেক মার দিয়েছে। পরে ৫বছর জেল খেটেছি। সেখান থেকে অবমুক্ত হয়ে বাংলাদেশে এসেছি। খুব ভয়ের মধ্যে আছি।
আল্লামা সাঈদী সম্পর্কে সুখরঞ্জন বালি দৃঢ়ভাবে বলেন, তিনি ভাল লোক, দুই বার তিনি আমাদের এমপি ছিলেন, আমরা তখন মায়ের কুলের মত বসবাস করেছি। এজন্য তার জানাজায় এসেছি।
https://www.facebook.com/manabzamindigital/videos/1627309901098782/
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৬ মে বিবিসি বাংলায় অমিতাভ ভট্টশালী লিখেছেন, সুখরঞ্জন বালি বাংলাদেশে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর যুদ্ধাপরাধের মামলায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন। তিনি গত বছরের ৫ই নভেম্বর ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চত্বর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান।
জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর আইনজীবীরা তখন অভিযোগ করেছিলেন যে তাকে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন অপহরণ করে নিয়ে গেছে। তবে রাষ্ট্রপক্ষ তখন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য নিউ এজ’-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের হয়ে একজন ভারতীয় নাগরিক কারাগারে সুখরঞ্জন বালির বক্তব্য নেন, যেখানে মি: বালি বলেন যে তাকে বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ অপহরণ করে, এবং পরবর্তীতে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর কাছে তুলে দেয়।
তবে পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাটের স্বরূপনগর থানায় সুখরঞ্জন বালির বিরুদ্ধে যে এফআইআর (ফার্ষ্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) দাখিল করা হয়, তার কোথাও এমন কথা উল্লেখ নেই যে তাঁকে কেউ অপহরণ করেছিলেন বা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে।
https://www.facebook.com/manabzamindigital/videos/1627309901098782/