আন্দোলনরত ৮ দলের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে লোকে লোকারণ্য

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

কারো তাঁবেদারি নয়-স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যেতে চাই: ডা. শফিকুর রহমান গুন্ডামি, সেন্টার দখল, সন্ত্রাস চালিয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসবেন- সেদিন ভুলে যান: মুফতি রেজাউল করিম নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে ইন্টেরিম সরকারকে ইতিহাস ক্ষমা করবে না: আল্লামা মামুনুল হক

সোমবার (১ ডিসেম্বর ২০২৫) খুলনা বিভাগে আন্দোলনরত ৮ দলের উদ্যোগে নগরীর ঐতিহাসিক বাবরী চত্বরের (শিববাড়ী মোড়) সমাবেশে ছিল লোকে লোকারণ্য। হাজার হাজার মানুষ সময়ের বহু আগে এসে সমবেত হয়েছিলেন। জনতার স্লোগানে মুখরিত হয়েছিল রাজপথ ও জনপদ।

খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা ৮ দলের বিজয় চাইনা, আমরা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। আমরা দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, ন্যায় বিচার ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা চাই। কারো তাঁবেদারি নয়- স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যেতে চাই।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর পীরসাহেব চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর আল্লাম মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুফতী মুসা বিন ইযহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি বিডিপির চেয়ারম্যান এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আউয়াল ও মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি ড. হামিদুর রহমান আযাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ধ মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহানগরী সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিনের পরিচালনায় দুপুর ১২ টায় অর্থসহ পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়।

এতে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী সুলতান মহিউদ্দীন, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার এম এ মজিদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতী শরীফ সাঈদুর রহমান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা মুহা. এমরান হুসাইন, সাতক্ষীরা জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ মো. শহীদুল ইসলাম মুকুল, বাগেরহাট জেলা আমীর মাওলানা মো. রেজাউল করিম, খুলনা জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, বাগেরহাটের এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ আব্দুল আলিম, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খুলনা মহানগরী সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ, খুলনা জেলা অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, খুলনা মহানগরী সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দীন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সদস্য মুফতী ওলিউল্লাহ মাহমুদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের খুলনা জেলা সহ-সভাপতি মুফতী আব্দুল কাইয়ুম জোমাদ্দার, খেলাফত মজলিসের খুলনা মহানগরী সভাপতি এফ এম হারুন অর রশিদ, খেলাফত মজলিসের খুলনা জেলার সভাপতি মাওলানা এমদাদুল হক, জাগপার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মো. নিজাম উদ্দীন অমিত, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের খুলনা মহানগরী সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাও মুজাহিদুল ইসলাম, খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক মুফতী ইব্রাহিম খলিল, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মো. জাকির হোসেন খান, বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট পার্টি বিডিপির খুলনা মহানগরী সভাপতি এডভোকেট মো. হানিফ উদ্দীন, জামায়াতে ইসলামীর যুববিভাগের মহানগরী সভাপতি মুকাররম বিল্লাহ আনসারী, যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি ফজলুল হক ফাহাদ, মহানগরী সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম নাসির, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য মহানগরী সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, খুলনা জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি ইউসুফ ফকির, ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি মো. ফরহাদ মোল্লা প্রমুখ। অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত করেন ক্বারী ইকরামুল কবির। এ ছাড়া প্রেরণা সাহিত্য সংসদ খুলনার আব্দুল্লাহ আল কাফি ও নবদান সাংস্কৃতিক সংগঠনের সিনিয়র পরিচালক নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে তাদের সহশিল্পীরা ইসলামী গান পরিবেশন করেন।

আমীরে জামায়াত বলেন, ৫ আগস্ট বিপ্লবের পরদিন থেকে একটি গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তারের জন্য জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অরাজকতা অব্যাহত আছে। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে। মানুষ বলতে বাধ্য হচ্ছে- আগে ভালো ছিলাম না, এখন আরও খারাপ আছি। তবে আজ পর্যন্ত কোনো ইসলামী দলের গায়ে চাঁদাবাজির তকমা লাগেনি বলে দাবি করেন তিনি।

৩৫ বছর ও তার নিচে যাদের বয়স, যারা বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি, তাদেরকে উদ্দেশ করে জামায়াতের আমীর বলেন, এবার তোমাদের ভোট নিয়ে কেউ ছিনিমিনি করতে চাইলে আমরা তা হতে দেব না। সেদিন আমারও যুবক হয়ে তোমাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করব। তরুণ ভোটারদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমরা তোমাদের হাতে দেশটা তুলে দিতে চাই। সেজন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত কর। তোমরা চাকরি করবে না, বরং চাকরি দেবে।

জামায়াতের আমীর আরও বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী ৫৪ বছরে জনগণের লালিত স্বপ্ন অনেকাংশেই বাস্তবায়ন হয়নি। দৃশ্যমান কিছু উন্নয়ন হলেও এটা প্রকৃত উন্নয়ন নয়। দেশ ও জাতির মধ্যে ন্যায়বিচার ও সামাজিক সুশাসন আছে কিনা সেটা বিবেচ্য। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা দুই ধারায় চলমান উল্লেখ করে জামায়াতের আমীর বলেন, এক ধারায় রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা। অন্য ধারায় স্কুল কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষা। মাদ্রাসায় খুন খারাবি হয় না। অস্ত্রবাজি হয়না। জ্ঞানের চর্চ্চা হয়। পক্ষান্তরে ৫৪ বছরে কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ে সন্তানদের লাশ পড়েছে। মদ-গাঁজার আসর বসেছে। মেয়েদের ইজ্জত লুট হয়েছে। অস্ত্রের ঝনঝনানি হয়েছে। সভ্য হতে হলে আমাদেরকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। কিছু দল ও ব্যক্তি দফায় দফায় দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করে দেশের ভাবমর্যাদা বিনষ্ট করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, অনেক স্থানে আমাদের ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। তবে জনগণ এখন আর পোস্টার দেখে ভোটের সিদ্ধান্ত নেয়না। তারা আমাদেরকে ভালোবেসে বুকের মধ্যে স্থান দিয়েছে। আন্দোলনরত ৮ দলের ৫ দফা গণদাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ইসলামী দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে- এই ঐক্য আমাদেরকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। প্রয়োজনে আরও একবার ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।”

সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর পীরসাহেব চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মো. রেজাউল করিম বলেন, “অনেকে বলেন- আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নই। কিন্তু আমরা নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। কিন্ত তারাই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে হিসাব নিকাশ করে দেখেছেন যে, তাদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। এবার নির্বাচন নিয়ে আপনারাই ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। আপনারা কী মনে করেছেন- গুন্ডামি করে, সেন্টার দখল করে, সন্ত্রাস চালিয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসবেন। সেদিনের কথা ভুলে যান। সে সুযোগ আর আপনারা পাবেন না।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর আল্লাম মামুনুল হক বলেছেন, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। ৭২ এর বাকশালপন্থি আর একভাগ ২০২৪ সালের বিপ্লবপন্থি শক্তি। তিনি বলেন, রক্তের সাগর পেরিয়ে ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের পর যেই ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত করা হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদ বাংলার মাটিতে আর আসবে না। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি কার্যকরে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। জুলাই সনদকে চূড়ান্ত আইনি ভিত্তি দিতে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। একসঙ্গে তালগোল পাকিয়ে এই মহত্বকে নষ্ট করবেন না। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা হোক। তিনি আরও বলেন, ইন্টেরিম সরকার ব্যর্থ হলে- ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। কলঙ্ক নিয়ে আপনাদেরও বিদায় নিতে হবে। বাংলার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি ‘হ্যাঁ’ ভোটের ব্যালটে ভোট দিয়ে বাক্স ভরে ফেলতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে। তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় থেকে দেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিণত করেছে। তারা চেয়েছিল ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। ৮ দল ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজ থাকবে না। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, এটাকে কেউ ভাঙতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ নেজামী ইসলামী পার্টির মহাসচিব মুফতি মুসা বিন ইযহার বলেন, খান জাহান আলীর শহর খুলনা, রূপালী শহর খুলনা। যারা সংস্কারের বিরুদ্ধে থাকবে, আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবে। যারা শরীয়া আইন চায়না জনগণ তাদের লাল কার্ড দেখাবে। আমাদের সিসা ঢালা এই ঐক্য ধরে রেখে ইসলামী সংসদ গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী বলেন, এদেশের সংবিধান হবে আল্লাহর কুরআন। সংসদ গঠিত হবে কুরআনের আইন দিয়ে। যেকোনো ষড়যন্ত্র আমরা মোকাবেলা করব। মানুষকে বোঝাতে হবে আল্লাহর আইন ছাড়া শান্তি সম্ভব না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান বলেছেন, যারা বলেছিলেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিবকে খুলনায় আসতে দিবে না। তারা এসে দেখে যান বাবরী চত্বর ইসলাম প্রিয় জনতায় ভরে উঠেছে। জাতীয় নির্বাচন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ৫ আগস্টে জনগণ দেখেছে এদেশের জনগণ হিন্দুত্ববাদ কায়েম করতে চায় না। বাংলাদেশের জনগণ চাঁদাবাজি দেখতে চায় না। গণভোটের প্রশ্নে তিনি বলেন, গণভোটকে ‘হ্যাঁ’ বলুন, ৮ দলের প্রতীকে সিল মারুন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি বিডিপির চেয়ারম্যান এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন বলেন, জুলাইয়ের পরে আর কাউকে অকাতরে জীবন দিতে হবে না। আমরা দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছি। এদেশের মানুষ অন্য দেশের দালালি করতে চায় না। মানুষ দালালি নয়- মুক্তি চায়।

সমাবেশে স্থানীয় নেতারা বলেন, যারা এ দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়, তাদের গ্রহণ করা হবে নাকি বর্জন করা হবে- এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ৮ দলীয় জোট মাঠে একত্র হয়ে কাজ করতে পারলে আগামীর বাংলাদেশ হবে শান্তির, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ। ৮ দলের দাবির পক্ষে জনগণ এক হয়েছে। হকের পথে জিহাদ ও সাধনা চালিয়ে যেতে হবে। হক আদায়ে আগামী নির্বাচনে মাঠে নামতে হবে। ৮ দল মিলে আগামী দিনগুলোতে দেশ শাসন করবে ইনশাআল্লাহ। চূড়ান্ত বিজয়ের লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। জাতীয় সংসদে মজলুম মানুষের পক্ষে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এখন যারা চাঁদাবাজি ও দখলবাজির শিকার তাদের মুক্তির জন্য ৮ দলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমরা আর প্রতারণার ফাঁদে পড়তে চাই না। আগে গণভোট দিতে হবে, তারপর নির্বাচন। পিআর ব্যবস্থা উচ্চ এবং নিম্ন কক্ষে চালু করতে হবে। আমরা সরকারকে বলছি- সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে, আঙুল বাঁকা করতে হবে। ৮ দলের ঐক্য ভাঙতে ষড়যন্ত্র চলছে, কিন্তু আমরা সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করব ইনশাআল্লাহ। আগামী সংসদে ইসলামী পতাকা উত্তোলনের জন্য যা যা প্রয়োজন, তা আমাদের ঐক্যবদ্ধাভাবে করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *