দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জ্ঞান, উদ্ভাবন ও নীতি-কূটনীতি : ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী

এশিয়া সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জ্ঞান উদ্ভাবন, নীতি, কূটনীতি এবং সামাজিক আস্থা পুনর্গঠন। প্রশাসন ও উন্নয়ন শুধু কাঠামোগত পরিবর্তনের বিষয় নয়, এটি মানবিক মূল্যবোধ, ন্যায়বোধ এবং আধুনিক জ্ঞান ব্যবস্থার সমন্বয়।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক নীতি সমন্বয় ও গবেষণানির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ অপরিহার্য, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্রব্যবস্থা হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রযুক্তি সমন্বিত। তরুণ প্রজন্ম ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে জ্ঞান অংশীদারত্ব ও পাবলিক ইনোভেশন ল্যাবে যুক্ত করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ-পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়া একাডেমিক ও নীতি কূটনীতি প্ল্যাটফর্মও শক্তিশালী করা উচিত।

আজ বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সায়েন্সেস (আইএএস) তে আইএএস-এসএএনপিএ শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২৫-এ দেওয়া ভাষণে তিনি এই মন্তব্য করেন। এই বছরের মূল প্রতিপাদ্য ‘স্থানীয় বাস্তবতা এবং আঞ্চলিক ভবিষ্যৎ : দক্ষিণ এশিয়ায় জনপ্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার রূপান্তর’।

দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহাসিক বন্ধন ও আঞ্চলিক মানবসম্পদের শক্তি তুলে ধরে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, যেখানে রাজনৈতিক সীমা আমাদের আলাদা করে, জ্ঞান ও উন্নয়নের লক্ষ্য সেখানে আমাদের এক কাতারে দাঁড় করায়।

সিইএমবি রিয়াজউদ্দিন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. সিদরা ইরফান। শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। এরপর স্বাগত ভাষণ দেন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইএএস-এর পরিচালক প্রফেসর ড. কাশিফ রাঠোর ।

এসএএনপিএ-এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. আখলাকে হক তার বক্তৃতায় দক্ষিণ এশিয়ায় প্রশাসন চর্চার জ্ঞান বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। সম্মেলনের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলী।

সম্মেলনে পাকিস্তান সরকারের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও বিশেষ উদ্যোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রফেসর আহসান ইকবাল প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তিনি উন্নয়ন নীতি, প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ভৌগোলিক নৈকট্যকে কৌশলগত অংশীদারত্বে রূপান্তরের সময় এখনই।

অনুষ্ঠানে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ, নীতি-নির্ধারক, গবেষক ও আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত ছিলেন। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ প্রশাসনবিদ, নীতিনির্ধারক ও গবেষকরা অংশ নিচ্ছেন। বাসস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *