বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ সময়ের বহু আগে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন বিশাল সমাবেশ করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দৃষ্টিনন্দনভাবে মাঠের মধ্যখানে রাখা হয়েছে জামায়াতের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’। ৩৩টি এলইডি স্ক্রিন ও ৩০০ মাইক লাগানো হয়েছে মাঠজুড়ে। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করছেন জামায়াতের প্রায় ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
‘জাতীয় সমাবেশ ২০২৫’ কর্মসূচিকে ঘিরে শুক্রবার থেকেই ঢাকামুখী হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। মিছিলে মিছিলে তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে সারা দেশে। শাহবাগ, মৎস্য ভবন, হাইকোর্ট, পলাশী ও টিএসসি হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সর্বত্র মানুষ আর মানুষ। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত রাজপথ ও জনপদ।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে অত্যন্ত শৃঙ্খলার মাঝে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। মঞ্চ নির্মাণ ও অতিথিদের আসন বিন্যাস করা হয়েছে বেশ পরিকল্পনা মোতাবেক। জাতীয় নেতৃবৃন্দ, শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ. জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের জন্য মঞ্চে আসন সাজানো হয়েছে।
মূল মঞ্চের আশপাশে রাখা হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার, প্রবাসী প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য আসন। সমাবেশস্থলে আগতদের জন্য খাবার পানির সুব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। রয়েছে ভ্রাম্যমাণ টয়লেট, মেডিকেল বুথ ও নামাজের জায়গা। উন্নত মাইক, আধুনিক এলইডি স্ক্রিনসহ অন্যান্য লজিস্টিক সংযুক্ত করা হয়েছে সব দিক থেকে সকলে যাতে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন সানন্দে।
সমাবেশের মূল কার্যক্রম শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে থেকে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনায় শুরু হয়েছে নান্দনিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জনপ্রিয় শিল্পী সাইফুল্লাহ মানসুরের উপস্থাপনায় সারা দেশের বহু সাংস্কৃতিক সংগঠন সেখানে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে।