পুরোনো ঐতিহ্যে বাংলা বর্ষবরণের ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ : ঢাবি উপাচার্য

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র পরিবর্তে হবে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, আমরা পুরোনো নাম এবং ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি, যেটা দিয়ে চারুকলার এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য একথা জানান। তিনি বলেন, এই শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্যে দুটো মেসেজ আছে। একটি হচ্ছে, নিবর্তনমূলক স্বৈরাচারী ব্যবস্থার অবসান। রাজনৈতিক ও সামাজিক নিবর্তনমূলক স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ, সেই বিষয়টি তুলে ধরা। আর দ্বিতীয় মূলত ঐক্যের ডাক, সম্প্রীতির ডাক।

চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ বলেন, এটাকে আমি নাম পরিবর্তন বলতে চাই না। শুরুতেই এটা ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। বর্ষবরণের সেই স্বতঃস্ফূর্ততা উল্লেখ করে তিনি বলেন পরিবর্তন নয়, পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে আনন্দ শোভাযাত্রাকে।

এ বছরের শোভাযাত্রাটি হবে ‘সর্ববৃহৎ, অন্তর্ভুক্তিমূলক,বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ’হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। এবারে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শোভাযাত্রায় বাংলাদেশের ২৮টি জনগোষ্ঠী অংশ নেবে বলে জানান চারুকলা অনুষদের ডিন।

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবয়ব অনুকরণে এবারের শোভাযাত্রার মোটিফে ‘স্বৈরাচারের’ দৈত্যরূপের প্রতিকৃতি বানানো হতে পারে বলে জানা গেছে। ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে কিছু প্রতিক রাখা হতে পারে। ফিলিস্তিনিদের কাছে প্রতিরোধ ও অধ্যবসায়ের প্রতীক ‘তরমুজ’। এই ফলটি বাইরের রঙ সবুজ। আর ভেতরের রঙ লাল, সাদা ও কালো। এটি ফিলিস্তিনের পতাকার রঙের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। – সাঈদ চৌধুরী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *