কানাডার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র পাওয়া দেশগুলোর অন্যতম ইসরায়েল। তবে জানুয়ারি থেকে ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ রেখেছে কানাডা। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি মঙ্গলবার এ ঘোষণা দিয়েছেন। সরকারী সূত্রের বরাত দিয়ে আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান মিত্র কানাডা। দেশটির ইসরায়েলকে বছরে বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা প্রদান করে। ইসরায়েলের নিজেকে রক্ষা করার অধিকারের প্রতি সমর্থন জানালেও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় বেসামরিক মানুষের মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন।
সোমবার কানাডার পার্লামেন্ট ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘাত নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘দুই রাষ্ট্র’ (পৃথক ও সার্বভৌম ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র) সমাধানের জন্য কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলকে শুধু যোগাযোগ উপকরণের মতো সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে কানাডা, যার ব্যবহারে কোনো মানুষকে সরাসরি হত্যা করা যায় না। দৈনিক টরন্টো স্টারকে দেওয়া বিবৃতিতে এটি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি।
রেডিও কানাডা জানিয়েছে, ২০২২ সালে কানাডা থেকে ২ কোটি ১০ লাখ কানাডীয় ডলার মূল্যমানের অস্ত্র পেয়েছে ইসরায়েল। ২০২১ সালে সংখ্যাটি ছিল ২ কোটি ৬০ লাখ কানাডীয় ডলার। যার ফলে কানাডার অস্ত্র রপ্তানির শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় স্থান পেয়ে এসেছে ইসরায়েল।
মার্চে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক ও আইনজীবীদের একটি জোট ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের জন্য কানাডা সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তারা দাবি করেন, অটোয়া অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করছে। এর পর ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠানো পুরোপুরি বন্ধ আছে বলে জানায় কানাডার সরকারী সূত্র।
৭ অক্টোবরের সংঘাত শুরুর পর থেকে হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্যে গাজায় প্রায় ছয় মাস ধরে সর্বাত্মক ও নিরবচ্ছিন্ন হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩১ হাজার ৮১৯ জন মানুষ। নিহতের মধ্যে ১৩ হাজার শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বাকিদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি।