অনুবাদ মাসুম খলিলী :
এক. আপনার হৃদয় থেকে ক্ষোভ দূর করুন। হৃদয় পরিশুদ্ধ করুন। আপনার হৃদয় একটি ছোট অঙ্গ। যখন আপনি এটিকে কারও প্রতি ঘৃণা দিয়ে পূর্ণ করেন, তার মাধ্যমে আপনি এটিকে সর্বশক্তিমানের প্রেমে পূর্ণ হতে বাধা দিচ্ছেন। সর্বদা তাঁর কাছে আমাদেরকে এমন হৃদয় থেকে রক্ষা করতে বলুন যা ঘৃণা, হিংসা ইত্যাদিতে পূর্ণ।
দু্ই. আপনার এবং সর্বশক্তিমানের মধ্যে কিছু জিনিস ব্যক্তিগত রাখুন। কেবলমাত্র তাঁরই উপর নির্ভর করতে আপনার কিছু জিনিস দরকার! মনে রাখবেন, আপনি কী করছেন, আপনার জীবনে কী চলছে ইত্যাদি প্রত্যেকেরই জানার দরকার নেই, যত কম মানুষ আপনার সম্পর্কে জানে, তত ভাল। গোপনীয়তা একটি মূল্যবান বিষয়!
তিন. এই রোগটি দ্রুত সংক্রমণ করে। অনেকেই এ রোগে ভোগেন। অন্যদের সাথে নিজেকে তুলনা বন্ধ করুন। আপনার জীবনের নিরাপত্তাহীনতাবোধ, ঈর্ষা এবং ক্ষুব্ধ থাকার অভ্যাসটি ভেঙ্গে ফেলুন। এর অন্যতম প্রধান কারণ হ’ল সোশ্যাল মিডিয়া! মনে রাখবেন, অন্যের কাছে যা আছে তা চাওয়া হ’ল সময় নষ্ট করা; নিজের জীবন নিজের মতো করে কাটান!
পূনশ্চঃ
এক. আপনার কাছে বিশ্বের সমস্ত অর্থই থাকতে পারে, তবে সে সাথে যদি আপনার হৃদয় না থাকে তবে কিছুই আপনাকে অন্যদের সাহায্য করতে চালিত করবে না। সব কিছু হৃদয়ের কারণে প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে।
দুই. এই রোগটি দ্রুত সংক্রমণ করে। অনেকেই এ রোগে ভোগেন। অন্যদের সাথে নিজেকে তুলনা বন্ধ করুন। আপনার জীবনের নিরাপত্তাহীনতাবোধ, ঈর্ষা এবং ক্ষুব্ধ থাকার অভ্যাসটি ভেঙ্গে ফেলুন। এর অন্যতম প্রধান কারণ হ’ল সোশ্যাল মিডিয়া! মনে রাখবেন, অন্যের কাছে যা আছে তা চাওয়া হ’ল সময় নষ্ট করা; নিজের জীবন নিজের মতো করে কাটান!
তিন. সর্বশক্তিমানের দিকে ফিরে যাবার সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না। আজই শুরু করুন। যে কোনও দিন যেমন এর জন্য উত্তম; তেমনি যত তাড়াতাড়ি শুরু করবেন ততই তা ভালো। তাঁর সান্নিধ্য সন্ধান করুন। তাঁকে ধন্যবাদ জানান এবং আপনি উন্নত জীবনের পথেই এগিয়ে যাচ্ছেন। এটি একটি ভুল ধারণা যে প্রার্থনা করার আগে তা নির্ভুল হওয়ার জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। কোন কিছুই কখনই নিখুঁত হতে পারে না। এখনই শুরু করুন!
দ্রষ্টব্যঃ
আরো স্মরণ করুন, যখন আপনার প্রতিপালক ঘোষণা করেন যে, তিনি অবশ্যই কিয়ামত পর্যন্ত এমন লোককে তাদের ( ইহুদিদের) ওপর ক্ষমতা দিয়ে পাঠাবেন, যারা তাদেরকে কঠিন শাস্তি দিতে থাকবে। আর আপনার প্রতিপালক তো শাস্তিদানে সত্বর এবং তিনি চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালুও। (সূরা আরাফ : ১৬৭)
স্মরণ কর, যখন তোমরা ( ইহুদি) বলেছিলে, ‘হে মূসা! আমরা একই রকম খাদ্যে কক্ষনো ধৈর্য ধারণ করব না, কাজেই তুমি তোমার প্রতিপালকের কাছে আমাদের জন্য দু‘আ কর, তিনি যেন ভূমি হতে উৎপাদিত দ্রব্য শাক-সব্জি, কাঁকড়, গম, মসুর ও পেঁয়াজ আমাদের জন্য উৎপাদন করেন’। মূসা বললঃ ‘তোমরা কি উৎকৃষ্ট বস্তুকে নিকৃষ্ট বস্তুর সঙ্গে বদল করতে চাও, তবে কোন নগরে প্রবেশ কর; তোমরা যা চাও তা সেখানে আছে’ এবং তাদেরকে লাঞ্ছনা ও দারিদ্রের কশাঘাত করা হল আর তারা আল্লাহর কোপে পতিত হল। তা এজন্য যে, তারা আল্লাহর নিদর্শনকে অস্বীকার করত এবং নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করত। অবাধ্যতা ও সীমালঙ্ঘন করার জন্যই তাদের এ পরিণতি হয়েছিল। (সূরা বাকারা : ৬১)
* লেখক: মুফতি মনক (ডক্টর ইসমাইল ইবনে মুসা মেনক) ইসলামি স্কলার ও জিম্বাবুয়ের প্রধান মুফতি * অনুবাদ: মাসুম খলিলী সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট