হিজাব-বিতর্কে ধরাশায়ী কর্ণাটকের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী

ধর্ম ও দর্শন সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

শেখ এনামুল হক

হিজাব বিতর্কই ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশকে ক্ষমতাচ্যুত করে ছাড়লো। কর্ণাটকে বহুল চর্চিত এই শিক্ষামন্ত্রী সরকারি স্কুলের মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পড়ে ক্লাস না করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। দেড় থেকে পৌনে দুই বছর আগের সেই ফরমানে উত্তাল হয়ে উঠেছিল কর্ণাটক। এর জের ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের অন্যত্রও। অনুরোধ-উপরোধে কাজ না হওয়ায় রাজ্যের মুসলমানরা আন্দোলনে নেমে পড়েছিল। সমর্থন এসেছিল ভারতের অন্যান্য প্রদেশের মুসলমানদের পক্ষ থেকেও। এর পরও নির্দেশ অপরিবর্তিত থাকায় আইন-আদালতের আশ্রয় নেয় মুসলমানরা। সুপ্রিম কোর্টে এখনও সেই মামলার রায় হয়নি। তবে রায় দিয়েছে কর্ণাটকের জনতা। টুমকুর জেলার টিপটুর কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি ভোটে হেরে গেছেন নাগেশ।

হিজাব নিষিদ্ধকরণ নাগেশকে দেশের সর্বত্র পরিচিতি দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এই হিজাবই তাকে পাঠিয়ে দিল অন্তরালে।

কর্ণাটক রাজ্যের মোট আয়তন ১,৯১,৯৭৬ বর্গকিলোমিটার। ভারতের মোট ভৌগোলিক আয়তনের ৫.৮৩%। কর্ণাটক আয়তন হিসেবে ভারতের অষ্টম বৃহত্তম এবং জনসংখ্যার দিক থেকে ভারতের নবম বৃহত্তম রাজ্য। এই রাজ্যে ৩০টি জেলা রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতের এই রাজ্যের আদি নাম ছিল মহীশূর। ভারতের সুবিখ্যাত সুলতান টিপু ছিলেন এই রাজ্যের অধিপতি। ইংরেজদের বিরুদ্ধে নিজ রাজ্য রক্ষায় বীরের মতো যুদ্ধ করে তিনি শাহাদাতবরণ করেন।

কর্ণাটকের পশ্চিমে আরব সাগর, উত্তর-পশ্চিমে গোয়া, উত্তরে মহারাষ্ট্র, পূর্বে অন্ধ্রপ্রদেশ, দক্ষিণ-পূর্বে তামিলনাড়ু এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে কেরল বা কেরালা অবস্থিত। কর্ণাটকের ইতিহাস অতি প্রাচীন। এখানে প্রাচীন প্রস্তর যুগের নানা নিদর্শন পাওয়া গেছে। প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ভারতের একাধিক শক্তিশালী সাম্রাজ্যের কেন্দ্র ছিল এই রাজ্য। এসব সা¤্রাজ্যের দার্শনিক ও চারণ কবিরা যে সামাজিক, ধর্মীয় ও সাহিত্যিক আন্দোলনের সূচনা করেন তার অস্তিত্ব আজও রয়েছে। এ রাজ্যের রাষ্ট্রীয় ভাষা কন্নড়। কন্নড় ভাষার লেখকরা ভারতের সর্বাধিক সংখ্যক জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেছেন। এ রাজ্যের রাজধানী তেবালুরু বর্তমান ভারতের একটি অগ্রণী বাণিজ্যিক ও প্রযুক্তি কেন্দ্র।

ভারতের ইতিহাসে কর্ণাটক রাজ্যের এই নির্বাচন একটি মাইলফলক হিসেবে থাকবে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নাগেশ একা নন, কর্ণাটকে জনতার রায়ে বাসবরাজ কেন্নাই মন্ত্রিসভার ২৫ জন মন্ত্রীর মধ্যে ১২ জনই এবার হেরে গেছেন। জনতার রায়ে খড়কুটোর মতো ভেসে গেছে সব। এমনকি ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তিও। আগামী বছর লোকসভা ভোটে কি হবে সেটা পরের কথা। রাজ্যের স্বার্থে এবার মোদি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে রাজ্যের মানুষ। গত ৩৪ বছরে কোনো দল এত আসন জিতে কর্ণাটকে সরকার গড়তে পারেনি। জনতার রায় ও রোষের তীব্রতা কতখানি এটাই তার প্রমাণ।

কংগ্রসের এই জয় কিংবা অন্যদিকে বিজেপির এভাবে পর্যুদস্ত হওয়ার কারণ অনেক। দুই দলের কাছেই কর্ণাটকের জনসাধারণ অনেক বার্তা দিয়ে রাখল। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে এখন থেকেই ভাবতে হবে তাদের এই মাত্রাতিরিক্ত সাম্প্রদায়িকতা বা অতিকেন্দ্রিকতা কোথায় কাজ দেবে, কোথায় অকার্যকর হবে।

ইন্দিরা গান্ধীর সময় থেকে কংগ্রেসে ‘হাইকমান্ড কালচার’ শুরু হয়েছিল। সেই থেকে হাতে গোনা কয়েকজনের সিদ্ধান্তই হয়ে ওঠে প্রথম ও শেষ কথা। কংগ্রেসের সেই রাজনৈতিক সংস্কৃতি আজকের মোদি-শাহ নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে গ্রাস করেছে। সেই অর্থে বিজেপির ‘কংগ্রেসায়ন’ ঘটে গেছে দ্রুত। এই অতি কেন্দ্রিকতার মাশুল কর্ণাটকে বিজেপিকে গুণতে হলো।

অথচ কংগ্রেস হেঁটেছে ঠিক উল্টো পথে। কালের নিয়মে কংগ্রেস দুর্বল হয়েছে। হাইকমান্ডের ধার ও ভার দুই-ই কমেছে বিপুলভাবে কিন্তু তবু ব্যবস্থাটা রয়ে গেছে। এই প্রথম দেখা গেল, কর্ণাটকে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জবরদস্তি কিছু চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেনি। এর ফলও মিলেছে হাতে হাতে।

ছোট্ট অথচ গুরুত্বপূর্ণ নমুনা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। যে মানুষটি এ রাজ্যে বিজেপিকে শূন্য থেকে গড়ে তুলেছেন, যার নামে প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত সমাজ সমর্থনের ডালি বিজেপিকে উজাড় করে দিয়ে এসেছে, যাকে দল থেকে আড়ালের মাশুল অতীতে বিজেপিকে গুণতে হয়েছে, সেই কারণে যাকে দলে ফেরত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীত্ব সঁপে দিতে বাধ্য হয়েছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব, সেই ইয়েদুরাপ্পাকে কোণঠাসা করে মোদি-শাহ এবার কি পেলেন? কংগ্রেস ৪৬ জন লিঙ্গায়েতকে প্রার্থী করেছিল। তাদের মধ্যে ৩৭ জন জিতেছেন। নরেন্দ্র মোদি ভেবেছিলেন তিনি অজেয়। কর্ণাটকের নির্বাচনী ফলাফল তা ভুল প্রমাণিত করেছে।

‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-এর কথা বললেও মোদির দিকে মুখ তুলে তাকায়নি রাজ্যের উপজাতি সমাজ। রাহুল গান্ধীর আত্মশ্লাঘা হতেই পারে। ৯ মাস আগে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করে তিনি বলেছিলেন, ‘ঘৃণার বাজারে ভালোবাসার দোকান খুলতে এসেছি’। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর, ১২ রাজ্যের সর্বত্র তিনি ভালোবাসা ও সম্প্রীতির কথা শুনিয়ে গেছেন। কর্ণাটক জয় ঘৃণার রাজনীতির বিপরীতে ভালোবাসাকেই প্রতিষ্ঠিত করেছে। শুধু শিক্ষামন্ত্রী নাগেশ নন, কর্ণাটক অনেককে অনেক রকম শিক্ষা দিয়েছে।

কর্ণাটকের নির্বাচন নিয়ে এবার বিচার-বিশ্লেষণ করা যাক, কর্ণাটকের বিপর্যয়ের জন্য নরেন্দ্র মোদিই দায়ী। ভরাডুবির পূর্ণ দায় তার ও তার সাগরেদ অমিত শাহ’র। নির্বাচনী ছক তারাই প্রণয়ন করেছেন। রাজ্য নেতৃত্বকে পাশ কাটিয়ে নীতি রূপায়নের দায়িত্ব দিয়েছেন বিএল সন্তোষ ও প্রহ্লাদ যোশীকে। আগাগোড়া উপেক্ষা করেছেন কর্ণাটকে বিজেপির জন্মদাতা ও পালক বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে। এর কুফলও পেয়েছেন হাতে নাতে। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে লিঙ্গায়েত গোষ্ঠী মোদি-শাহ ভেবেছিলেন আর্যাবত্যের দৃক বিন্ধ্য পবর্তের দক্ষিণেও সফল হবে। ক্ষমতার অতিকেন্দ্রিকতা এবং নিজেদের প্রশ্নের ঊর্ধ্বে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দলকে ইন্দিরা আমলের কংগ্রেসতুল্য তারাই করে তুলেছেন। তাদের সে ভুলের মাশুলও গুণতে হচ্ছে।

ভুল তারা একটা-দুটো করেননি। মানুষের সমস্যা নিরসনের কোন চেষ্টা তারা করেননি। ক্ষোভ চাপা দিতে কংগ্রেসকে পাল্টা আক্রমণ করে বরং বিপদ বাড়িয়েছেন সরকারের ৪০ শতাংশ ব্যর্থতা আড়াল করতে ৪০ বছর আগেকার কংগ্রেসের দুর্নীতি টেনে নিজেদের দুর্নীতিকেই সমর্থন করেছেন। আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন ধর্মীয় মেরুকরণের। কর্ণাটকবাসী এই দৃক শুধু বানচাল করেনি এর ফলে মুসলমান সমর্থন পুরোপুরি কংগ্রেসে ঢলে পড়েছে। দক্ষিণ কর্ণাটকের মুসলমানরা এতবছর জেডিএস ও কংগ্রেসকে সমান সমর্থন করেছেন। এবার তারা একমাত্র কংগ্রেকেই বেছে নিয়েছেন। এই তল্লাটের ৬৪ আসনের মধ্যে কংগ্রেস জিতেছে ৪৪টি আসনে।

বিধানসভা ভোটকে জাতীয় চরিত্রে মুডে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব ও দুর্নীতির নাগপাশ মুক্ত হতে চেয়েছিলেন মোদি।

প্রচারে এসব নিয়ে তিনি যত মৌন কংগ্রেস তত মুখর। ইশতেহারে জনমুখী পাঁচ প্রতিশ্রতির উল্লেখ শুধু নয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকর্জুন খাড়গের। ষষ্ঠ প্রতিশ্রুতি মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই পাঁচ অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হবে। মোদি কর্ণাটকের গ্লোবাল ইমেজ বাড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছেন, কংগ্রেস ফেরি করেছে দারিদ্র্য মোচনের ছোট ছোট স্বপ্ন। শেষ বিচারে লড়াইটা হয়ে উঠে মৌদি বনাম কংগ্রেস দারিদ্র্য বনাম বৈভবের। কংগ্রেস দরিদ্র ও মাধ্যবিত্তের সহায়।

মৌদি বিত্তবানদের প্রতিভূ। দলিত, তপশীলী জাতি-উপজাতি, অনগ্রসর এবং মুসলমান কংগ্রেসকে কীভাবে আকড়ে ধরেছে তার ছোট নমুনা-১৩৫টি আসনের অর্ধেকের ৫০ শতাংশের বেশি ভোটে। জোয়ার নয় কংগ্রেস যেন বানের তোড়ে ভেসে গেছে।

বিজেপি কর্ণাটক থেকে শিক্ষা নেবে কিনা বোঝা যাচ্ছেনা। ধর্মীয় মেরুকরণের চরিত্র সর্বভারতীয় নয়। উত্তর ভারতে যা চলে, দক্ষিণ ভারতে তা অচল। দারিদ্র্য-পীড়িত মানুষের কাছে ধর্মের রাজনীতি দুঃখ দুদর্শার বিকল্প হতে পারে না। দরিদ্র মানুষের কাছে রাজনীতির শ্লোগান কখনও সমাধান হতে পারে না। দরিদ্র মানুষের সমস্যা সমাধানের পথে না গিয়ে দেড় বছর ধরে বিজেপি হিজাব-হালাল-আজান-টিপু সুলতান আর সাভার করের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়েছে। বিজেপির এই শ্লোগান দারিদ্র্য ক্লিষ্ট মানুষের কাছে কল্কে পায়নি। ভুল থেকে শিক্ষা না নিয়ে বিজেপির পরিণতি নিয়ে তার শুভাকাংখীদের অনেকেই শঙ্কিত। ভুল থেকে শিক্ষা না নিলে বিজেপির বিপদ বাড়বে। ক্ষমতার অতিকেন্দ্রিকতা থেকে সরে এসে বিকেন্দ্রীকরণে জোর না দিলে রাজস্থান ও মধ্য প্রদেশ দুশ্চিন্তা বাড়াতে পারে। কর্ণাটকে কংগ্রেসী মডেল কিন্তু যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামোকেই সম্মান জানিয়েছে। অথচ বিজেপি এগিয়ে যাচ্ছে। এক দেশ, এক জাতি, এক ধর্ম, এক ভাষায়, এক দল, এক আদর্শ ও এক নেতা প্রতিষ্ঠার চেতনায়।

কর্ণাটকের শেষ খবর অবশ্য বিজেপির জন্য সুখবর নয়। কর্ণাটকের মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে ঐকমত্য হবার ব্যাপারে অনেকের সংশয় ছিল। কিন্তু সংশয়ের সেই কালোমেঘ কেটে গেছে। সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত কর্ণাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন সিদ্ধারামাইয়া। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমার। শনিবার বেঙ্গালুরুর কান্তিরভা স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২ টায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রায় ১৫ হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিল মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিয়েছেন।

এর আগে এই স্টেডিয়ামেই ২০১৩ সালে প্রথমবারের মত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন সিদ্ধারামাইয়া। এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয় বারের মত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেন। বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর ঐক্য প্রদর্শনের অংশ হিসেবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তামিলনাড়–র মুখ্যমন্ত্রী এস কে স্টালিন, ভারতীয় কম্যুনিস্ট পার্টির সাধারাণ সম্পাদক ডি রাজা, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার, কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শারদ পাওয়ার, কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ এবং অভিনেতা কমল হাসানও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদেরও শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কংগ্রেস।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের মধ্যে দিয়ে সবরকম জল্পনা কল্পনার অবসান হল। মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে সিদ্ধারামাইয়া ও রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমারের মধ্যে অনেক্য নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনার ফানুস ওড়ানো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সবরকম জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নয়া মন্ত্রিসভা গঠিত হল।

সবশেষে নরেন্দ্র মৌদির সর্বগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেস কিভাবে দূরদর্শিতার সাথে অগ্রসর হতে পারে তার প্রতীক্ষায় রয়েছে ভারতের শান্তিপ্রিয় ও উপমহাদেশের উদ্বিগ্ন মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *