হিজবুল্লা-ইসরায়েল সংঘর্ষ, নিজ বাসিন্দাদের সীমান্ত থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ ইসরায়েলের

মধ্যপ্রাচ্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

গাজায় হামাসের সাথে ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলা ও স্থল হামলার মধ্যেই লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধের সূচনা হয়ছে। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বিরানিত সামরিক ঘাঁটিতে ভয়াবহ রকেট হামলা চালিয়েছে সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। সোমবার স্থানীয় সময় সকালের দিকের এই হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হিজবুল্লাহর হামলা চালানোর ভিডিওতে দেখা যায়, রকেট আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গে ঘাঁটিতে আগুন ধরে যায়। তবে এই হামলায় কোনো হতাহত হয়নি বলেছে আইডিএফ।

হিজবুল্লরে সাথে সংঘর্ষরে পর লেবাননের সনে সীমান্ত এলাকা থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। সতর্ক বার্তায় বলা হয়ছেে, সীমান্তের চার কিলোমিটারের মধ্যে যেন কেউ না আসেন।

লেবানন সীমান্ত এলাকায় ইসরায়েলের বেশ কিছু ছোট ছোট শহর ও গ্রাম রয়েছে। রোববার সকালে হিজবুল্লার হামলায় ইসরায়েলের ভেতরে একজন নিহত হন। হিজবুল্লাহ বলেছে, একদিন আগে লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় রয়টার্সের এক সাংবাদিকসহ তিন জন নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় আজ ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে। সাংবাদিক ইসসাম আব্দুল্লাহর পোশাকে পরিষ্কারভাবে ‘প্রেস’ লেখা ছিল। এর পরও ইসরায়েল থেকে তাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।

ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ইসরায়েলের তিনটি শহরে রকেট সাইরেন বাজিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। লেবানন থেকে ছোড়া রকেটের বিষয়ে এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এখনই যুদ্ধে জড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও ইসরায়েলকে সতর্ক করে তেহরান বলেছে, গাজায় হামলা বন্ধ না হলে ইসরায়েলকে এর ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে।

শনিবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির সূত্রে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে লেবাননে যুদ্ধের পর এই প্রথম নাবাতিহ অঞ্চলে ইসরাইল সামরিক বাহিনী হামলা চালায়। এদিকে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার সকালে হিজবুল্লাহ লেবানন থেকে সাসা ও শতাউলার জনবসতির দিকে প্রায় ২০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে।

শনিবার সকালে হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের প্রধান হাশেম সাফিউদ্দীন বলেছেন, যতদিন গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং গাজাবাসীর বিরুদ্ধে হুমকি ও নারী-শিশুদের হত্যা চলবে, ততক্ষণ এ অঞ্চলের সকল প্রতিরোধ বাহিনী সম্ভাব্য সব উপায়ে ইসরাইলিদের উপর চাপ অব্যাহত রাখবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *