হিজবুল্লাহ এবং হামাসের মধ্যে বৈঠকে উদ্বিগ্ন ইসরাইল!

মধ্যপ্রাচ্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ ফিলিস্তিনিদের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং সংগঠনটির উপ-প্রধান শেখ সালেহ আল ইউরিকে তার নিজ দফতরে স্বাগত জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিন এবং লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা ফিলিস্তিন এবং এ অঞ্চলে সাম্প্রতিক ঘটনাসহ আল আকসা মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের ওপর ইসরাইলের দমনপীড়ন, গাজায় এবং অধিকৃত জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বৈঠক করেছেন।

এই বৈঠকে উভয়পক্ষ ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ফ্রন্টগুলোর প্রস্তুতির মাত্রা এবং বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় এর সাথে জড়িত সমস্ত পক্ষের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করা হয়। এই সফরটি লেবাননে হিজবুল্লাহ মহাসচিবের সাথে যৌথ বৈঠকের পরে হয়েছিল। েইসরাইলী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রাম জোরদার করার লক্ষ্যে হামাস ও ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনের কর্মকর্তাদের অবস্থান সমন্বয় করার জন্য লেবাননে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ এবং হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার মধ্যে বৈঠকটি এমন একটি পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে অধিকৃত অঞ্চলের চারপাশে প্রতিরোধ ফ্রন্টগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং তারা ইসরাইলের মোকাবেলায় প্রস্তুত অবস্থার মধ্যে রয়েছে।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে লেবানন ও সিরিয়া থেকে অধিকৃত ফিলিস্তিনের দিকে বেশ কয়েকটি রকেট ছোড়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইসরাইলের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে দখলকৃত এলাকায় রকেট ছোড়া হয়েছে। এসব গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ লেবানন থেকে অধিকৃত ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চলীয় বসতিতে ১০০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।

এর আগে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো ঘোষণা করেছিল আল-আকসা মসজিদে ইহুদিবাদীদের ক্রমাগত আক্রমণের মোকাবিলা করার জন্য জনগণ এবং প্রতিরোধকামী দলগুলোর মধ্যে সর্বাত্মক অভ্যুত্থানের প্রয়োজন। বুধবার ভোরে ইহুদিবাদী সেনারা আল-আকসা মসজিদে ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে। আল-আকসা মসজিদে দখলদার বাহিনীর হামলায় ২৪০ জন মুসুল্লী অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

একটি ব্যাপক ভিত্তিক আঞ্চলিক যুদ্ধ বা একটি ‘মাল্টি-ফ্রন্ট ওয়ার’ হল এমন একটি দৃশ্যায়ন যার বিষয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইহুদিবাদী কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞরা কথা বলেছেন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো যার মধ্যে রয়েছে অধিকৃত ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চলের রকেট বৃষ্টি এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বাইরে গিয়ে গোলান মালভূমিতে অবস্থান করে সেখান থেকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলোর তৎপরতা ইসরাইলের উদ্বেগ আরো বাড়িয়ে তুলেছে।

ইসরাইলের রাজনৈতিক ও সামরিক বিষয়ে দেখভাল করেন এমন কর্মকর্তাদের মূল এবং কেন্দ্রীয় উদ্বেগ এখন লেবাননের হিজবুল্লাহর মাধ্যমে পরিচালিত উত্তর ফ্রন্ট এবং গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকামীদের মাধ্যমে পরিচালিত দক্ষিণ ফ্রন্ট। সামনের দিনগুলোত ইসরাইলকে এই ধরনের আরো বহুমুখী প্রতিরোধ ফ্রন্টের মোকাবেলা করতে হবে এই ভেবে ইসরাইলী শাসকগোষ্ঠী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। সূত্র : পার্স টু ডে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *