ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতেনিয়াহুর দপ্তর শুক্রবার জানিয়েছে যে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে অস্ত্র বিরতির লক্ষ্যে আগামি সপ্তাহে আলোচনা আবার শুরু হবে। দোহায় ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান আলোচনা শেষে ফিরে আসার পর এ কথা জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর উল্লেখ করেছে যে অস্ত্র বিরতির এবং পণবন্দি মুক্তির ব্যাপারে সমঝোতার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের মধ্যে এখনও মতামতের কিছু ফারাক রয়ে গেছে।
মোসাদের পরিচালক ডেভিড বার্নি কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং হামাস তার অস্ত্রবিরতি প্রস্তাব হালনাগাদ করার পর ইসরায়েল বলেছে তারা আলোচনা আবার শুরু করবে। যেমনটি হামাসের একজন মুখপাত্র শুক্রবার বলেন যে গাজায় অস্ত্র বিরতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় সংশোধন আনার জন্য তাদের প্রস্তাব মধ্যস্থতাকারীদের পক্ষ থেকে “ইতিবাচক সাড়া” পেয়েছে। যদিও তারা বলছে যে ইসরায়েলের অবস্থান পরিস্কার নয়।
হোয়াইট হাউজ শুক্রবার জানায় যে নোতানিয়াহু এই মাসে ওয়াশিংটনে আসলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সম্ভবত তাঁর সঙ্গে বৈঠক করবেন। অস্ত্র বিরতির আলোচনা বিষয়টি এমন সময়ে আসলো যখন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে ইসরায়েলি অভিযানে পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে সাত জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে যে তারা “সন্ত্রাসবাদ বিরোধী তৎপরতা” চালাচ্ছিল।
এদিকে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বাহিনী ও লেবানন ভিত্তিক হেজবুল্লাহ সীমান্তে পরস্পরের উপর আক্রমণ চালায়। হেজবুল্লাহ বলেছে তারা ইসরায়েলি ঘাঁটিতে ২০০ টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করে। এই আক্রমণে বিস্ফোরক ড্রোনও ব্যবহার করা হয়। ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠটি বলে যে বুধবার ইসরায়েল তাদের এক অধিনায়ককে হত্যা করার জবাবে তারা এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যম বৃহস্পতিবার জানায় যে নেতেনিয়াহু বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন যিনি কী না কয়েক মাস ধরে সন্ধি কারানোর চেষ্টা করে আসছেন। নেতেনিয়াহু পণবন্দিরদের মুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা অব্যাহত রাখতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানান।
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে বলেন, “ প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান যে তাঁর আলোচনাকারীরা চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র , কাতার ও মিশরের মধ্যস্ততাকারীদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন”। – ভয়েস অফ আমেরিকা