হলোকাস্টের মতো গাজায় গণহত্যা চলছে : ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের জঘন্য গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা বলেছেন, হলোকাস্টের সময় ছাড়া ইতিহাসে এমন বর্বরতা আগে কখনো ঘটেনি। তিনি বিশ্বব্যাপী নীরবতা এবং গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধেরও তীব্র নিন্দা জানান।

প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা গাজায় চলমান গণহত্যাকে হলোকাস্টের (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ‘ইহুদি-নিধন’) সাথে তুলনা করে বলেন. ‘এটি একটি গণহত্যা, এটি নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর একটি অত্যন্ত পরিকল্পিত যুদ্ধ।’ । সোমবার মিডল ইস্ট মনিটর এ খবর প্রকাশ করেছে।

এদিকে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ হুমকি দিয়ে বলেছেন, বিশ্ববাসী এবং হামাস নেতাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত, যদি রমজানের আগে আমাদের পণবন্দী নাগরিকরা বাড়িতে না ফেরে, তাহলে রাফাহ অঞ্চলের সর্বত্র অভিযান চলবে।

চলতি বছরের ১০ মার্চ ইসলামের পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে যাচ্ছে। ইসরায়েল এমন একটি সময় এই অভিযানের হুঁশিয়ারি দিলো, যখন রাফাহতে হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিরোধিতা বাড়ছে।

রাফাহ এলাকায় বর্তমানে ১৫ লাখেরও বেশি বেসামরিক মানুষ অবস্থান করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে যে, বিমান হামলার পরের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে তারা রাফাহ শহরের উত্তরে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল তাদেরকে সেখানে ঢোকার অনুমতি দেয়নি।

রাফাহ থেকে পাওয়া বিবিসির খবরে জানা যাচ্ছে যে, ইতোমধ্যেই সেখানকার উদ্বাস্তুরা পশ্চিম উপকূলের দিকে সরে যেতে শুরু করেছে। তবে উদ্বাস্তুদের বেশিরভাগ অংশ এখনো বুঝতে পারছে না যে, তারা ঠিক কোথায় আশ্রয় নেবেন।

আন্তর্জাতিকভাবেও ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যে, তারা যেন এই ধরনের হামলা থেকে বিরত থাকে।কারণ ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুরা সেখানে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বসবাস করছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ধারাবাহিক সামরিক অভিযানে গাজা উপত্যকার অনেকাংশ এখন রীতিমত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *