আরাফার ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দিয়েছেন পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ ড. মাহের বিন হামাদ আল মুয়াইকিলি। খুতবায় তিনি বলেন, হে মানুষ, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর আনুগত্য করো। কোরআনে বলা হয়েছে, যে অন্যায় করবে আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেন।
খুতবায় তাকওয়ার জীবন অবলম্বনের তাগিদ দেন তিনি। এ ছাড়া ইসলামের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মুসলমানদের পরিশুদ্ধ জীবন-যাপনের প্রতিও তাগিদ দেন। একইসঙ্গে সব কাজে ইসলামের বিধি-বিধানকে প্রাধান্য দেওয়ার পরামর্শ দেন।
খুতবায় শায়েখ মাহের বিন হামাদ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি প্রজ্ঞাময়, সমস্ত বিষয়ে অকিবহাল, মহাজ্ঞানী, সর্বশক্তিমান। তিনি দিনকে রাত দ্বারা আচ্ছাদিত করেছেন; তারা একে অন্যকে দ্রুত গতিতে অনুসরণ করে। আর সূর্য, চাঁদ ও নক্ষত্ররাজী—এরা সবই তাঁরই আজ্ঞাবহ। জেনে রেখো, সৃষ্টির একমাত্র কর্তা তিনিই। হুকুমের একমাত্র মালিকও তিনি।
খুতবায় আরও বলা হয়, আল্লাহ হলেন সবকিছুর তত্ত্বাবধায়ক, সৃষ্টির জন্য রহমতসরূপ এবং সৃষ্টির অবস্থান সংশোধনের জন্য তিনি পবিত্র আল কোরআন নাজিল করেছেন। ‘এটি এমন কিতাব, যার আয়াতগুলো সুদৃঢ়, অতঃপর মহাজ্ঞানী মহান রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে স্ববিস্তারে ব্যাখ্যাকৃত। এই কোরআন সঠিক পথের দিশা দেয় এবং সৎকর্মশীল মুমিনদের এই সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য রয়েছে পুরস্কার।’ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহা নেই, তিনি ব্যাতীত কারও ইবাদত করা যায় না। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।
খুতবায় শায়েখ ড. মাহের বিন হামাদ আল মুয়াইকিলি বলেন, তাকওয়া মানুষকে সফলতা ও মুক্তি দেয়, তাকওয়া অবলম্বনকারীরা কিয়ামতের দিন দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত থাকবেন। সে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দেবেন যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না। যে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে তাকে প্রতিদান দেবেন।
খুতবায় পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব বলেন, মানুষের মধ্যে আল্লাহর অনুগ্রহগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, তিনি মানবজাতীকে কল্যাণের পথে নিতে তাদের কাছে মুহাম্মদ (স.)-কে পাঠিয়েছেন। যারা নবীর অনুসরণ করবে এবং আল্লাহ হেদায়েত স্বরূপ যে কোরআন নাজিল করেছেন তার বিধান মেনে চলবে তারাই সফল।