যখন একজনই গোটা পৃথিবীর রাজা, ক্ষমতার উত্তাপে
তার চোখ সূর্যের বুকে দোল খাওয়ারই কথা!
অথচ জুলকারনাইনের চোখ ছিলো জোছনাস্নিগ্ধ কোমল!
সেই দুটি চোখ কোথায় রেখেছো হে মহাকাল!
দেশে দেশে ক্ষমতার অভিধানে যৎসামান্য আঁচও নেই তার!
অথচ তিনিই মানুষের চোখে এঁকেছিলেন জীবনের ঘ্রাণ
তিনি পৃথিবীকে এক মলাটে সেলাই করে
প্রতিটি পৃষ্ঠায় গুঁজে দিলেন স্বাধীনতার নিশান
প্রতিটি নিশান ছিলো একেকটি বিজয়
প্রতিটি বিজয় একেকটি মর্যাদার মানচিত্র
তাঁর ছিলো অজস্র অট্টালিকার শহর
সুখসম্পদ ও জ্ঞানভাণ্ডারে সমৃদ্ধ পাণ্ডুলিপি তাঁর
রাতভর লিখতেন মানুষের অধিকার
লিখতেন ক্ষুধাক্লিষ্ট বুকের বেদনা
লিখতেন বস্ত্রহীন চোখের দুঃখ
এসবই ছাপা হতো ক্ষমতার পৃষ্ঠায়
দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে শব্দ নিতেন তিনি
বঞ্চিতের চোখ থেকে নিতেন দায়িত্বের ভার
সহায়হীন থেকে হাহাকার নিয়ে মানব সুতোয়
সেলাই করতেন দুঃখীদের সংবিধান
পাঠ করলেই বুঝবেন-
মানুষগ্রন্থের চেয়ে উত্তম কোনো গ্রন্থ নেই
সম্মানের চেয়ে দামী কোনো সম্পদ নেই
মর্যাদার চেয়ে উত্তম কোনো পদবী নেই
এবং স্বাধীনতার চেয়ে বড় কোনো ভূগোল নেই!
