ইউরোপীয় ফুটবলের পাঠ চুকিয়ে ইতোমধ্যেই নেইমার যোগ দিয়েছেন আল হিলালে। দুই বছরের চুক্তিতে বেশ মোটা অংকের টাকার বিনিময়েই সৌদি ক্লাবটিতে নাম লিখিয়েছেন তিনি। আল হিলালে নেইমার বেতন পাবেন বছরে ১০ কোটি ইউরো।
নেইমারের আগে একই লিগে নাম লিখিয়েছেন সময়ের আরো দুই সেরা ফুটবলার। পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আছেন আল নাসেরে, আল ইত্তিফাকে আছেন ফ্রান্সের করিম বেনজেমা। সৌদি ক্লাব থেকে উভয়েই বছরে আয় করছেন ২০ মিলিয়ন ইউরো। যা নেইমারের দ্বিগুণ।
১০ কোটি ইউরো শুধু বেতন হিসেবে পেলেও, বোনাস সহ নেইমার আল হিলাল থেকে বছরে আয় করবেন ১৫ কোটি ইউরো, যা আগের ক্লাব পিএসজির দেয়া বেতন থেকে ছয় গুণ বেশি! শুধু তাই নয়, আরো নানাবিধ সুবিধা চেয়ে নিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। যা শুনে চোখ কপালে উঠবে।
বরাবরই বিলাসী জীবনযাপন করা নেইমার আল হিলাল থেকেই চেয়েছেন আধুনিক সব সুবিধাসহ ২৫ কক্ষের রাজকীয় বাড়ি। যে বাড়িতে থাকতে হবে সুইমিং পুল, যার আয়তন হতে হবে ৪০০ মিটার। বাড়িতে আরো থাকতে হবে তিনটি সনা। আর ২৪ ঘণ্টা কাজ করার জন্য দিতে হবে পাঁচজন সহকারী।
তাছাড়া ব্রাজিল থেকে আনা ব্যক্তিগত পাচকের জন্যও দিতে হবে একজন সহকারী আর ঘরদোর পরিষ্কার রাখার জন্য ক্লিনিং অপারেটর রাখতে হবে দুজন। এছাড়া এমন একটা ফ্রিজও চাওয়া হয়েছে, যেখানে নেইমারের পছন্দের পানীয় আকাই জুস আর অতিথিদের জন্য দক্ষিণ আমেরিকান খাবার গুয়ারানা থাকবে সবসময়।
তার গাড়িরও ব্যবস্থা করবে আল-হিলাল। তবে একটি নয়, গাড়ি থাকবে আটটি। যেখানে আছে তিনটি দামি স্পোর্টস কার, চারটি মার্সিডিজ জি ওয়াগন, একটি করে জার্মান ব্র্যান্ডের এসইউভি ও ভ্যান। যোগুলোর মূল্য পাঁচ লাখ ইউরো পেরিয়ে যায়। এমনকি বাড়ির সাথেই এই গাড়িগুলো রাখার ব্যবস্থা ও ড্রাইভার দেয়ার দাবিও জানিয়ে রেখেছেন নেইমার।
এমনকি নেইমারকে দেয়া হবে একটি ব্যক্তিগত বিমান! তবে এখানেই শেষ নয়, নেইমারের ঘুরে বেড়ানোর খরচও দিতে হবে আল হিলালকে। বেড়াতে গিয়ে যেখানে থাকবেন-খাবেন এবং বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করবেন; সব খরচ ক্লাব কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করবে। নেইমারের পরিবারও একই সুবিধা পাবে।
সৌদিতে বিবাহবহির্ভূতভাবে নারী-পুরুষ একই ছাদের নিচে থাকা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ হলেও নেইমারের বেলায় সে নিয়ম কার্যকর থাকছে না। বান্ধবী ব্রুনা বিয়ানকার্দিকে বিয়ে ছাড়াই নিজের কাছে রাখতে পারবেন নেইমার।
তবে এখানেই থেমে নেই নেইমারের চাওয়া-পাওয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সৌদি আরবের প্রচারণামূলক কোনো পোস্ট বা স্টোরি দিলেই প্রতিটির জন্য তার অ্যাকাউন্টে যোগ করতে হবে ৫ লাখ ইউরো! এমনটাই চেয়েছেন নেইমার।
* নেইমারের হাতে থাকা জার্সিতে লেখা- আল-হিলাল ইজ্জুন ওয়া ফাখরুন। মানে আল-হিলাল সম্মান ও মর্যাদা।