আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে খর্ব করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন। বিবৃতিতে বলা হয়, গত জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপি এবং ভোটার, নির্বাচনি পর্যবেক্ষক ও নাগরিক সমাজের প্রতিষ্ঠানকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর এই ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।
ব্লিনকেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সিয়েরা লিওন এবং সারা বিশ্বে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অক্ষুণ্ন রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজ আমি ২০২৩ সালের জুনে সিয়েরা লিওনের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য অভিবাসন এবং জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২(এ)(৩)সি-এর অধীনে একটি নতুন ভিসা বিধিনিষেধ নীতি ঘোষণা করছি।
এই নীতির অধীনে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় কারচুপিসহ সিয়েরা লিওনে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের জন্য ভিসা বিধিনিষেধ অনুসরণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। দায়ী ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এই বিধিনিষেধের আওতায় পড়তে পারে। যে ব্যক্তিরা সিয়েরা লিওনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্বে আসবে, তারা এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, এই ভিসা-নীতি সিয়েরা লিওনের সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। কোনো সাধারণ মানুষ সরাসরি এর আওতায় পড়বে না। যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সিয়েরা লিওনের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
বাংলাদেশ, নিকারাগুয়া, কম্বোডিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের ওপর ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসের শেষের দিক নিকারাগুয়ার ১০০ কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।