রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের সাইফার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং পিটিআই নেতা শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি ২০২৪) রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে দুই পিটিআই নেতার উপস্থিতিতে বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
এর আগে শনিবার শুনানির সময় বিচারক পিটিআই নেতাদের বলেন, তাদের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ৩৪২ ধারার রাষ্ট্র কর্তৃক আইনজীবী নিযুক্ত করা হয়েছে। তখন ইমরান খান ও মাহমুদ কুরেশি আদালতে তীব্র প্রতিবাদ জানান। এতে শুনানি স্থগিত করা হয়। এর একদিন পরে এই রায় প্রদান করা হয়েছে।
আদিয়ালা কারাগারে মামলার শুনানি হয়। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন- ২০২৩ এর অধীনে গত বছর বিশেষ আদালত স্থাপন করা হয়।
রায় ঘোষণার পর পিটিআই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোহর আলি খান বলেছেন, নির্বাচন থেকে আমাদের মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ৮ ফেব্রুয়ারির পর সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সংবিধান ও আইনের তোয়াক্কা না করেই পিটিআই প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা চালানো হচ্ছে। মামলার শুনানিকারী বিচারক নিজেই প্রশ্ন করছেন। তবে উচ্চ আদালত এবং সুপ্রিম কোর্টে বিশ্বাস রয়েছে উল্লেখ করে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচন। এই সময়ে আদালতের এমন রায় নিয়ে পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। গোহর আলি খান দলীয় কর্মীদের আইন হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সুত্র: ডন ও যাসারত