সহিংসতার ঝুঁকি বাড়বে : দ্য ডিপ্লোম্যাট

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের এশিয়া প্রোগ্রাম ডিরেক্টর পিয়েরে প্রকাশ দ্য ডিপ্লোম্যাট-এ লিখেছেন, বাংলাদেশে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী মেরুকরণে সহিংসতার ঝুঁকি বাড়বে। এই ভোটে প্রতিযোগিতার কোনো চিহ্ন ছিল না। বেশির ভাগ ভোটারের অংশগ্রহণ ছিল না।

নির্বাচন কমিশন এবারের নির্বাচনে ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে দাবি করলেও- এই পরিসংখ্যান নিয়ে অনেক সন্দেহ আছে। নির্বাচনের দিন অনেক ভোটকেন্দ্রই দিনব্যাপী ফাঁকা ছিল।

নির্বাচনে প্রকৃত বিরোধীদল না থাকায় অনেক ভোটারের ভোট প্রদানে তেমন উৎসাহ ছিল না। ভোটের এ নিম্নমুখী হার ক্ষমতাসীন সরকারের কর্মকাণ্ডে অসন্তোষের প্রতিফলন।

সরকারের সমালোচকদের ধরপাকড়, নিপীড়ন, দুর্নীতির উচ্চহার এবং অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার এর অন্যতম কারণ।

নির্বাচন কমিশন যখন ফলাফল ঘোষণা করলো, ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ অথবা দলটি থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে ২৮৩টি আসনে জয়ী, তখন বিস্মিত হওয়ার কিছু ছিল না। ভোটকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেয়ার জন্য অন্য আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের প্রত্যাহার করেছে, যাতে তাদের মিত্ররা বা সাজানো বিরোধীরা জিততে পারেন।

বিগত ১৮ মাসের বেশি সময় ধরে বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করেছে। তারা শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দাবি করে তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন চেয়েছে। বিএনপির ২৮ অক্টোবর বিশাল সমাবেশ দ্রুত পণ্ড করে দেয় পুলিশ। পরবর্তী সময়ে দলটির প্রথম সারির নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতাদের প্রস্তাব দেওয়া হয় তারা নির্বাচনে এলে তাদের জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের এই প্রস্তাব মাত্র একজন গ্রহণ করেছেন। আর প্রস্তাব লুফে নেওয়া মাত্রই তার জামিন হয়েছে এবং তিনি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেট পান।

তবে বিএনপি তাদের ঐক্য ধরে রাখতে পেরেছে। যদিও তাদের অনেক নেতা এখনো জেলে আছেন।

এধরণের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেও তাদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ক্রমশ বাড়ছে এবং পরপর তিনটি ত্রুটিযুক্ত নির্বাচনের কারণে ভোটারদের হতাশায় গ্রাস করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *