‘সরকারের জন্য সবদিক থেকে বিপদ ঘনিয়ে আসছে: বিএনপি’

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

বিএনপিকে নিয়ে নিউ এইজ পত্রিকার শিরোনাম, ‘Danger coming from all sides for govt: BNP’. অর্থাৎ সরকারের জন্য সবদিক থেকে বিপদ ঘনিয়ে আসছে বলে বলছে বিএনপি।

খবরে বলা হচ্ছে, বুধবার বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি বলেছে, গত সাতই জানুয়ারি ‘ব্যাপকভাবে ত্রুটিপূর্ণ ও একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের’ কারণে সব দিক থেকে সরকারের জন্য বিপদ ঘনিয়ে আসছে।

এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “চোরদের ভোট নিয়ে খুশি হওয়ার কিছু নেই। চারদিকে বিপদ আসছে। সব বিরোধী দলের নেতাদের জেলে ভরে রেখে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।”

সাজানো নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাছে যারা পরাজিত হয়েছে, তারা এখন অভিযোগ তুলেছে যে প্রশাসন তাদেরকে হারিয়ে দিয়েছে। “ডেপুটি কমিশনার এরইমধ্যে বলেছেন যে, তারা সরকারের ইচ্ছানুযায়ী কাজ করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা এবং সরকারি কর্মকর্তারা এ ধরনের বিবৃতি দিচ্ছে। এ ধরনের অডিও ও ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে,” তিনি বলেন।

তিনি অভিযোগ করেন, “এই সরকার দুর্নীতির সাগরে ভাসছে। তাদের সোনার নৌকা দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ এবং এই সরকারের অর্জন হচ্ছে দুর্নীতি।”

বাংলাদেশের নতুন গঠিত মন্ত্রিসভা নিয়ে বণিক বার্তা পত্রিকার শিরোনাম, মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ আজ। এতে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। শপথ গ্রহণ শেষে নিজ নিজ শপথবাক্যে স্বাক্ষর করবেন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, শপথ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে প্রায় ১ হাজার ৪০০ অতিথিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে বঙ্গভবন।

এরআগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিপরিষদের নতুন সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। তবে মন্ত্রণালয় ভাগ করার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর। উনি দায়িত্ব বণ্টনের পর আমরা প্রজ্ঞাপন জারি করব।’

প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার মোট সদস্য ৩৭। সেখানে পূর্ণ মন্ত্রী হচ্ছেন ২৫ জন।

দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার শিরোনাম, ‘Hasina springs cabinet surprises’ অর্থাৎ মন্ত্রিসভায় চমক দিলেন হাসিনা। এতে বলা হয়েছে, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবেই শেখ হাসিনা তার নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করতে গিয়ে তার আগের সহকর্মীদের মধ্যে থেকে ৩০ জনকে বাদ দিয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেক হেভিওয়েট নেতাও রয়েছেন।

নতুন মন্ত্রিসভার আজ শপথ নেয়ার কথা রয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভায় মোট ৩৭ সদস্যের মধ্যে ১৫ জন নতুন মন্ত্রী থাকবেন। আর কোনো মন্ত্রী যুক্ত করা না হলে এটি হবে সাম্প্রতিক কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ছোট মন্ত্রিসভা।

আজ টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন শেখ হাসিনাও। এতে করে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি।

বিএনপি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া নিয়ে সংবাদ পত্রিকার শিরোনাম, ‘ফাইনাল খেলা শেষ’ বিএনপির আর ভবিষ্যৎ নেই। এই খবরে বলা হয়েছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন ‘ফাইনাল খেলা’ শেষ হয়ে গেছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আর ‘কোনো ভবিষ্যৎ নেই, সামনে কেবলই অন্ধকার।’

বুধবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খেলা শেষ, ফাইনাল হয়ে গেছে।’ ৭ জানুয়ারি কী হল? বিএনপি একটা ভুয়া দল, এদের আন্দোলন ভুয়া, এদের কর্মসূচি ভুয়া, ওদের ২৮ দফা ভুয়া, একদফা ভুয়া, ওদের ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ ভুয়া, ওদের নেতা তারেক ভুয়া।

‘আসল ভুয়া ডাক দেয় লন্ডন থেকে, কেউ শোনে না। তাদের বর্তমান ভুয়া, তাদের আর কোনো ভবিষ্যৎ নেই, শুধু অন্ধকার।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন নতুন খেলা। এখন খেলা রাজনীতির খেলা, নির্বাচনের খেলা শেষ ৫ বছরের জন্য।

জাতীয় পার্টি নিয়ে মানবজমিন পত্রিকার শিরোনাম, জাপা কার্যালয় ঘেরাও চেয়ারম্যান-মহাসচিবের পদত্যাগের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম। এই খবরে বলা হয়েছে, রাজধানীর বনানীতে থাকা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন দলটির পরাজিত প্রার্থীরা। এসময় দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুর পদত্যাগ দাবি করেন তারা।

জাপা নেতাদের দাবি, নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে শীর্ষ নেতারা ফোন ধরছেন না। তারা কোনো যোগাযোগ করছেন না তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে। তাদের দাবি, বর্তমান কমিটি এরশাদের হাতে গঠিত জাতীয় পার্টিকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে।

বুধবার সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা জড়ো হন বনানী কার্যালয়ের সামনে। পরে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন।

১১টি আসনে জাপার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। বিজয়ী হওয়ার পর জাপার এমপিরা শপথ নেয়া নিয়েও শুরু করে নানা নাটকীয়তা। তবে সবকিছুর পর বুধবার তারা শপথও গ্রহণ করেছেন।

বাংলাদেশের ব্যাংকখাত নিয়ে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার শিরোনাম, তারল্য ঘাটতি মেটাতে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ধার। এতে বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তারল্য ঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার করা বাড়িয়েছে।

মঙ্গলবার নিলামে ৩৫টি ব্যাংক ও দুটি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) রেপো ও তারল্য সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১৩ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা নিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, দেশের ব্যাংকিং খাত কিছুটা তারল্য সংকটের মধ্যে রয়েছে। সংকটে পড়া ব্যাংকগুলোকে প্রতি কার্যদিবসে বাংলাদেশ ব্যাংক তারল্য সহায়তা দিচ্ছে।

খবরটিতে বলা হচ্ছে, বেশির ভাগ ব্যাংক ইদানীং বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে তারল্য সহায়তা নিচ্ছে। মঙ্গলবারের নিলামে চারটি ব্যাংক একদিনের রেপো সুবিধার মাধ্যমে ৪১৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা নিয়েছে। এছাড়া ১৬টি ব্যাংক ও দুটি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) সাত দিনের রেপো সুবিধার মাধ্যমে ৭ হাজার ৮৭৬ কোটি ২২ লাখ টাকা নিয়েছে।

অর্থনীতি নিয়ে বণিক বার্তার শিরোনাম, রিজার্ভ নিম্ন পর্যায়ে থাকলে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। এতে বলা হয়, বৈশ্বিক অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে মঙ্গলবার ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‌বিশ্বব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, সংস্থাটি বলেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর জুড়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো অব্যাহত থাকবে।

সংস্থাটির আশঙ্কা, চলতি অর্থবছরেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে যেতে পারে নিম্ন পর্যায়ে। সেক্ষেত্রে সরকারকেও আমদানি নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রাখতে হতে পারে। চাপ থাকবে মূল্যস্ফীতিরও। এর ধারাবাহিকতায় বাধাগ্রস্ত হবে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ।

সব মিলিয়ে এ অর্থবছরেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানি, রফতানি ও বেসরকারি বিনিয়োগের মতো সূচকগুলোয় উন্নতির সম্ভাবনা তেমন একটা নেই। হ্রাস পেতে পারে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারও।

যুগান্তর পত্রিকার শিরোনাম, বাংলাদেশ পিছিয়ে ৪৮ সূচকে। এতে বলা হয়েছে, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে ৪৮টি সূচকে এখনো পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এছাড়া ৪০টি সূচক মূল্যায়নে কোনো তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে না। তবে সঠিক পথে আছে ৪৫টি সূচক। ইতোমধ্যে লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে ১৪টি সূচকের।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত জিইডির সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহম্মদ বুধবার যুগান্তরকে বলেন, পৃথিবীব্যাপী এসডিজিতে ফাইন্যান্স গ্যাপ রয়েছে। যেটি আমাদের দেশেও আছে।

ফলে অনেক সূচকের ক্ষেত্রে যে পরিমাণে বিনিয়োগ দরকার ছিল, সেটি সম্ভব হয়নি। ফলে যেসব সূচক কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছে, সেগুলোয় নজর দিতে হবে। তবে সার্বিকভাবে এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ভালো করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এখন এসডিজি স্কোর হচ্ছে ১০৫। এটি খারাপ অবস্থান নয়।

নয়া দিগন্ত পত্রিকার শিরোনাম, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে, ঊর্ধ্বমুখীই থাকবে মূল্যস্ফীতি : বিশ্বব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, বুধবার ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা’ শীর্ষক ষাণ্মাসিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আবারো দুঃসংবাদ দিলো বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমে যাবে। এই সময়ে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

এছাড়া আগামীতে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতিও অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে তারা। মূলত ব্যক্তি মানুষের ভোগব্যয়ের কারণে মূল্যস্ফীতির হার বাড়তি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী থাকায় আমদানি নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে এবং সে কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

দেশের রফতানি নিয়ে বিশ্বব্যাংক বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না এবং বিষয়টি প্রবৃদ্ধির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। – বিবিসি বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *