সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের বার্ষিক হিসাব বাধ্যতামূলক করার দাবি করেছেন ড. মোমেন

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বার্ষিক হিসাব বাধ্যতামূলক করার দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় তিনি বলেন, কিছুসংখ্যক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এসব ব্যাপারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলে দুর্নীতি কমবে। তাই সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বার্ষিক হিসাব বাধ্যতামূলক করা এখন সময়ের দাবি।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারি প্রকল্পের ব্যয় কমানো ও রাজস্ব বাড়ানোর দিকে নজর দেয়ারও তাগিদ দেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, জনগণ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে অসহায়। উৎপাদন ঠিকঠাক থাকার পরও কেন সবকিছুর দাম বাড়ে, তা ভাবা দরকার। ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এতে সৎ করদাতারা নিরুৎসাহিত হবেন। দুর্নীতিবাজদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনলেই দুর্নীতি কমবে বলেও মন্তব্য করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ড. মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বিদেশে বেশি অর্থ পাচার করেন সরকারি চাকরিজীবীরা। কানাডার টরন্টোয় বাড়ি করা বাংলাদেশি নাগরিকদের বিষয়ে ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, সংখ্যার দিক থেকে অনেক বেশি সরকারি কর্মচারীর বাড়িঘর সেখানে রয়েছে এবং তাঁদের ছেলেমেয়েরা সেখানে থাকে। টাকা পাচারের (কানাডায়) তথ্য পাওয়া ২৮টি ঘটনার মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীই বেশি।

ঢাকায় এ খবর প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়ায় বলা হচ্ছে, সম্ভবত এই পাচারকারী আমলা তন্ত্রের কালো টাকার কাছে তিনি হেরে গেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বা অন্য কোন মন্ত্রণালয় এবার তাঁর ভাগ্যে জুটেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *