রাইডার কাপ গল্ফ টুর্নামেন্টে যোগ দিতে যাওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প৷ তিনি বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে, গাজা নিয়ে আমাদের একটি চুক্তি হচ্ছে৷” মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘‘আমি মনে করি এটা এমন একটা চুক্তি (হবে) যা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনবে, এটি এমন একটি চুক্তি যা যুদ্ধের অবসান ঘটাবে৷”
তবে চুক্তিটি কীভাবে বা কখন সই হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি ট্রাম্প৷ সোমবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে৷
কয়েকদিন আগেই হোয়াইট হাউসের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছিলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে আসা সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, তুরস্ক, জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের কাছে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রস্তাব পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷
গাজায় যুদ্ধ বন্ধের এই মার্কিন প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এখনও আটক থাকা সকল জিম্মিকে ফেরত পাঠানো হবে, কাতারের উপর আর কোনও ইসরায়েলি হামলা চালানো হবে না এবং ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান’-এর বিষয়ে একমত হতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নতুন করে সংলাপ শুরু করা হবে৷
নেতানিয়াহু অবশ্য সংলাপের বিষয়ে একমত হবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ শুক্রবার জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, এমন পরামর্শ ‘নিছক পাগলামি’ এবং ইসরায়েলের জন্য এমন পদক্ষেপ ‘আত্মহত্যা’র সামিল’৷
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় নতুন করে যুদ্ধ শুরু হয়৷ হামাসের হামলায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়৷ এখনও গাজায় ৪৮ জন জিম্মি রয়েছেন, যাদের মধ্যে মাত্র ২০ জন এখনও জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
অন্যদিকে, গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় গাজার বেশিরভাগ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন৷ – ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ